কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলার কড়ইবাড়ী গ্রামে দুই সন্তানসহ নারীকে কুপিয়ে ও পিটিয়ে হত্যার ঘটনার মামলার তদন্তের দায়িত্ব জেলা পুলিশের গোয়েন্দা শাখায় (ডিবি) হস্তান্তর করা হয়েছে। পুলিশ সুপার মোহাম্মাদ নাজির আহমেদ খান বলেন, ‘মামলাটি গুরুত্বসহকারে দেখছি; যার কারণে তদন্তভার ডিবি পুলিশকে দেওয়া হয়েছে।’ এর আগে মামলার তদন্তের দায়িত্বে ছিলেন বাঙ্গরা থানার এসআই আবু তাহের। গতকাল মামলার নতুন তদন্ত কর্মকর্তা, জেলা ডিবি পুলিশের এসআই নয়ন কুমার চক্রবর্তী বলেন, ‘হত্যাকাণ্ডের স্থান ছাড়াও পুরো এলাকা ঘুরে দেখেছি। এখনো বেশির ভাগ বাড়ি জনশূন্য।’
গত বৃহস্পতিবার সকালে ‘মব’ সৃষ্টি করে কড়ইবাড়ী গ্রামের খলিলুর রহমানের স্ত্রী রোকসানা বেগম (৫৩), তাঁর ছেলে রাসেল মিয়া (৩৫) ও মেয়ে তাসপিয়া আক্তারকে (২৯) হত্যা করা হয়। এ ছাড়া গুরুতর আহত হন রোকসানার আরেক মেয়ে রুমা আক্তার (২৭)। এ ঘটনায় শুক্রবার রাতে ৩৮ জনের নাম উল্লেখ ও অজ্ঞাতনামা ২০-২৫ জনকে আসামি করে থানায় মামলা করেন রোকসানার বড় মেয়ে রিক্তা আক্তার। স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান শিমুল বিল্লাহকে প্রধান আসামি করা হয়েছে। এরই মধ্যে আটজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।