বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা ও সাবেক মন্ত্রী অ্যাডভোকেট এম রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলু বলেছেন, ২০০৮ সালের অবৈধ নির্বাচনে দায়িত্বপালনকারী নির্বাচন কমিশনার, পুলিশ কর্মকর্তাসহ জড়িত সবার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নিতে হবে। ২০০৮ সালের কারচুপির নির্বাচনের মাধ্যমে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এসে একের পর এক জালিয়াতির নির্বাচন করে অবৈধভাবে ১৬ বছর ক্ষমতায় থেকে হাজার হাজার বিএনপি নেতা-কর্মীকে হত্যা ও লাখ লাখ নেতা-কর্মীকে জেল-জুলুম নির্যাতন করেছেন। গতকাল বিকালে নাটোরের নলডাঙ্গা উপজেলার পিপরুল ইউনিয়ন জাতীয়তবাদী কৃষক দল আয়োজিত জনসমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে দুলু এসব কথা বলেন। দুলু আরও বলেন, ভারতের সাবেক রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখার্জি তার নিজের লেখা বইয়ে পরিষ্কারভাবে লিখেছেন কীভাবে ২০০৮ সালের এই নির্বাচনে কারচুপি করে বিএনপিকে হারিয়ে আওয়ামী লীগ বাংলাদেশের ক্ষমতা দখল করেছিল। তাই শুধু ২০১৪, ২০১৮ ও ২০২৪ সালের নির্বাচনে জড়িতদের বিচার নয়, ২০০৮ সালের নির্বাচনে জড়িতদের এবং ১/১১-এর কুশিলবদের গ্রেপ্তার করে বিচার করতে হবে। ১/১১-এর কুশিলব ও ক্ষমতাধারীরা সেদিন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারপারসন তারেক রহমানকে রিমান্ডে নিয়ে অমানুষিক নির্যাতন করেছিল, তার মাজা ভেঙে দিয়েছিল।
তাদের কারণেই আজ পর্যন্ত বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারপারসন তারেক রহমান দেশের বাইরে অবস্থান করছেন। দুলু বলেন, দেশের মানুষ সরাসরি তাদের পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দিয়ে বিজয়ী করতে চান। পিআর বা সংখ্যানুপাত পদ্ধতির নির্বাচন চান না। স্থানীয় শ্যামনগর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে ইউনিয়ন কৃষক দলের সভাপতি শাহজাহান আলীর সভাপতিত্বে আয়োজিত জনসমাবেশে আরও বক্তব্য দেন-জেলা বিএনপির সাবেক সহসভাপতি দুলুর সহধর্মিণী সাবিনা ইয়াসমিন ছবি, জেলা মহিলা দলের সভাপতি ও সাবেক এমপি সুফিয়া হক, জেলা বিএনপির সদস্য নাটোর পৌর সভার সাবেক মেয়র কাজী শাহ আলম, নাসিম উদ্দিন নাসিম, জেলা যুবদল সভাপতি এ হাই তালুকদার ডালিম, জেলা কৃষক দলের আহ্বায়ক আবু হেনা মোস্তফা কামাল ও সদস্যসচিব হাসান আলী প্রমুখ।