ভুয়া পাসপোর্ট ও কাগজপত্র তৈরি করে নারীদের বিদেশে পাচারের অভিযোগে জনশক্তি কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরোর (বিএমইটি) ৯ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। গতকাল সংস্থাটির সমন্বিত জেলা কার্যালয় ঢাকা-১ এ মামলাটি করেন সহকারী পরিচালক স্বপন কুমার রায়।
মামলার আসামিরা হলেন- বিএমইটির উপপরিচালক (বহির্গমন) সাজ্জাদ হোসেন সরকার, সহকারী পরিচালক মোহাম্মদ হোসেন উল্লাহ আকন্দ, জনশক্তি জরিপ কর্মকর্তা নিজামউদ্দিন পাটোয়ারী, অফিস সহকারী কাম কম্পিউটার অপারেটর আজাদ হোসেন, এইচ এ ইন্টারন্যাশনালের ম্যানেজিং পার্টনার আনোয়ার হোসেন, কে এইচ ওভারসিজের ম্যানেজিং পার্টনার সালাউদ্দিন, মক্কা ওভারসিজের মালিক জামাল হোসেন, তাসনিম ওভারসিজের ম্যানেজিং পার্টনার আনোয়ার হোসেন ভূইঞা এবং এস এম ম্যানপাওয়ারের পার্টনার একরামুল হক।
দুদক সূত্র জানায়, বিভিন্ন এজেন্সি পরস্পর যোগসাজশে প্রতারণা ও জালিয়াতির মাধ্যমে গৃহকর্মী হিসেবে মধ্যপ্রাচ্যে যেতে ইচ্ছুক নারীদের ‘প্রত্যাগত’ হিসেবে দেখানোর জন্য ভুয়া পাসপোর্ট ব্যবহার করে। সৌদি আরবসহ মধ্যপ্রাচ্যে গৃহকর্মী পাঠানোর ক্ষেত্রে প্রযোজ্য মন্ত্রণালয়ের পরিপত্র লঙ্ঘন করে ২৫ বছরের কম বয়সি চারজন অপ্রাপ্তবয়স্ক নারীকে ছাড়পত্র দিতে অনুমোদনের জন্য নোট উপস্থাপন করা হয়। এই কাজে সংশ্লিষ্ট এজেন্সিগুলোকে জালিয়াতি ও নিয়মবহির্ভূতভাবে ছাড়পত্র নিতে সহায়তা করা হয়।