মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা ফরিদা আখতার বলেছেন, এ বছরের কোরবানি ঈদে প্রতিবেশী কোনো রাষ্ট্র থেকে গবাদি পশু আমদানি করা হয়নি। এর ফলে দেশি খামারিদের অনেক গরু বিক্রি হয়েছে। গতকাল সচিবালয়ে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টার কার্যালয়ে শুভেচ্ছা বিনিময়কালে এ কথা বলেন তিনি। ফরিদা আখতার বলেন, এ বছর ঈদুল আজহায় যাতায়াত, কোরবানি, কোরবানির মাংসসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে অন্য যে কোনো বছরের তুলনায় সার্বিকভাবে ভালো ও স্বস্তিদায়ক ছিল। তিনি বলেন, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় বিশেষ করে প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর সারা বছর বিভিন্ন বিষয়ে খামারিদের সহযোগিতা ও সচেতনতা বৃদ্ধিতে কাজ করে যাচ্ছে। তবে স্বস্তির বিষয় হলো এ বছর কোরবানিতে প্রতিবেশী কোনো রাষ্ট্র থেকে গবাদি পশু আমদানি করা হয়নি; এর ফলে দেশি খামারিদেও বেশি গরু বিক্রি হয়েছে। প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা বলেন, গবাদিপশুর চামড়ার ক্ষেত্রে সরকারের পক্ষ থেকে যে পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছিল তা সঠিক ও যৌক্তিক। ামরা দেখেছি এতিমখানা ও মাদরাসা কোরবানির পশুর চামড়া নিয়েছে। সরকারের পক্ষে বিনামূল্যে লবণ সরবরাহ করা হলেও পশুর চামড়া সংরক্ষণে অভিজ্ঞতা না থাকার ফলে কিছুটা সমস্যার সৃষ্টি হয়েছিল। চামড়ার দাম কাক্সিক্ষত মাত্রায় না থাকলেও পূর্বের যে কোনো বছরের চেয়ে তুলনামূলকভাবে ভালো ছিল বলে মন্তব্য করেন তিনি। উপদেষ্টা মন্ত্রণালয়ের অধীন দপ্তর-সংস্থাসমূহকে গতিশীল ও যুগোপযোগী করার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের প্রতি আহ্বান জানান ফরিদা আখতার। শুভেচ্ছা বিনিময় অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন মন্ত্রণালয়ের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তারা।