বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান বলেছেন, সংস্কার ও গণতন্ত্র পরস্পরবিরোধী না, এটা পরিপূরক। একটার জন্য আরেকটাকে আটকে রাখার সুযোগ নাই। সেজন্য আমরা বলি, বিচারও হতে হবে, সংস্কারও হতে হবে, নির্বাচনও হতে হবে এবং সবই যত দ্রুত সম্ভব হতে হবে। গতকাল জাতীয় প্রেস ক্লাবে আবদুস সালাম হলে জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টির (জাগপা) প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি শফিউল আলম প্রধানের অষ্টম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষ্যে আয়োজিত আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
জাগপার সভাপতি খন্দকার লুৎফর রহমানের সভাপতিত্বে এবং সহসভাপতি এম এ ওহাবের সঞ্চালনায় আরও বক্তব্য দেন জাতীয় দলের সৈয়দ এহসানুল হুদা, এনডিপির কারী আবু তাহের, সাম্যবাদী দলের সৈয়দ নুরুল ইসলাম, জাগপার প্রেসিডিয়াম মেম্বার খন্দকার আবিদুর রহমান প্রমুখ।
নজরুল ইসলাম খান বলেন, সংস্কার এবং নির্বাচনকে সামনাসামনি করে দেওয়া হচ্ছে, এটা আরেকটা অপরাধ, আরেকটা ভুল। গণতন্ত্র নিজেই একটা গুরুত্বপূর্ণ ব্যাপার। এর আগে রাজতন্ত্র ছিল, সামন্তবাদ ছিল। গণতন্ত্র এসেছে। এটাও একটা সংস্কার ও বিপ্লবের মধ্য দিয়ে আসছে। গণতন্ত্র সারা দুনিয়ায় অনেকভাবে কাজ করছে। গণতন্ত্র একেক দেশে একেক রকমভাবে কার্যকর হয়। এটাও একটা রিফর্মের প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে চলছে।
তিনি বলেন, গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠা করা এখন সময়ের দাবি। আমরা জানি, বাংলাদেশে কিছু রাজনৈতিক শক্তি আছে, কিছু সামাজিক শক্তি আছে। তারা অনেকেই তাদের নিজেদের রাজনৈতিক স্বার্থে কিংবা তাদের গোষ্ঠীর স্বার্থে তারা গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়াটাকে বিলম্বিত করতে চায়। নানা কায়দায়, নানা কৌশলে তারা এই গণতন্ত্রের অভিযাত্রাকে বিলম্বিত করতে চায়। এতে তাদের স্বার্থ কতটা হাসিল হবে আমরা জানি না।