সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এখন ইনফ্লুয়েন্সারদের দখলে। ঝলমলে পর্দাজুড়ে চলছে তাদের জয়জয়কার। প্রতিদিন নতুন নতুন পণ্যের মনকাড়া প্রচারে মুখর সাইবার দুনিয়া। তবে এই চমকপ্রদ প্রচারের আড়ালেও লুকিয়ে আছে প্রতারণার চক্র। সেই চক্রেরই সদস্য হিসেবে এবার গ্রেপ্তার হয়েছেন এক বিউটি কুইন ও সোশ্যাল মিডিয়া ইনফ্লুয়েন্সার।
ভুয়া ফাইবারযুক্ত সাপ্লিমেন্ট প্রচারের দায়ে গ্রেপ্তার করা হয়েছে ভিয়েতনামের জনপ্রিয় ইনফ্লুয়েন্সার নগুয়েন থুক থুয়ি তিয়েনকে। অভিযোগ, তিনি ‘কেরা সুপারগ্রিনস গামি’ নামে একটি জেলি ধরনের খাদ্যপণ্যের প্রচার করে বিপুলসংখ্যক গ্রাহককে প্রতারিত করেছেন।
বিবিসি’র প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, প্রাথমিক তদন্তে দেখা যায়—পণ্যে ঘোষিত পরিমাণে ফাইবার ছিল না, এবং উপাদানগুলো ছিল নিম্নমানের। এছাড়া এতে স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর ল্যাক্সেটিভ ব্যবহার করা হয়েছিল, যা প্যাকেজিংয়ে উল্লেখই ছিল না।
থুয়ি তিয়েন ২০২১ সালে ‘মিস গ্র্যান্ড ইন্টারন্যাশনাল’ প্রতিযোগিতায় বিজয়ী হন, যা ব্যাংককে অনুষ্ঠিত হয়। এরপর থেকে ভিয়েতনামের টেলিভিশন, শো ও বিজ্ঞাপনে নিয়মিত মুখ হয়ে ওঠেন তিনি। জনপ্রিয়তায় পেয়ে যান ‘বিউটি কুইন’ খেতাব।
এই পণ্যের প্রচারে তিনি আরও দুই ইনফ্লুয়েন্সারের সঙ্গে কাজ করেন। তারা দাবি করেন, প্রতিটি গামিতে এক প্লেট সবজির সমান ফাইবার রয়েছে। কিন্তু ল্যাব টেস্টে দেখা যায়—প্রতিটি গামিতে মাত্র ১৬ মিলিগ্রাম ফাইবার রয়েছে, যেখানে দাবি ছিল ২০০ মিলিগ্রাম।
চলতি বছরের মার্চে তিনজনকেই জরিমানা করা হয় ও তারা ক্ষমা চান। তবে তদন্তে নতুন তথ্য বের হলে তাদের আবার গ্রেপ্তার করা হয় এবং প্রতারণার অভিযোগে মামলা দায়ের করা হয়। এর আগেই বাজারে এক লাখের বেশি বক্স গামি বিক্রি হয়ে গিয়েছিল।
এ ঘটনায় ভোক্তা অধিকার নিয়ে নতুন বিতর্ক শুরু হয়েছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ইনফ্লুয়েন্সারদের অন্ধভাবে অনুসরণ না করে পণ্যের সত্যতা যাচাই করা জরুরি।
বিডি প্রতিদিন/আশিক