বরিশালের বিভিন্ন এলাকায় হঠাৎ লাম্পি স্কিন রোগে আক্রান্ত হচ্ছে গবাদি পশু। কোরবানি ঈদের মুহূর্তে এ রোগের প্রাদুর্ভাবে দুশ্চিন্তায় কৃষক ও খামারিরা।
জানা গেছে, প্রান্তিক কৃষকের গরু এ রোগে বেশি আক্রান্ত হচ্ছে। অনেকে কবিরাজ ও পল্লিচিকিৎসকের শরণাপন্ন হচ্ছেন। প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, গত এক মাসে লাম্পি রোগে আক্রান্ত শতাধিক গরুর চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। আক্রান্ত পশুর প্রথমে সামনের পা ফুলে যায়। তাপমাত্রা বেড়ে গিয়ে শরীরে বড় বড় গুটি দেখা দেয়। এক সপ্তাহ পরে গুটিগুলো গলে ঘা হয়। ঘা থেকে অনবরত তরল পদার্থ বের হয়। তবে আক্রান্তের তুলনায় মৃত্যুর সংখ্যা খুবই কম।
এক কৃষক বলেন, কোরবানির আগে এ ধরনের রোগে আক্রান্ত হলে গরুর দাম কমে যাবে। এতে তারা ক্ষতিগ্রস্ত হবেন।
এ বিষয়ে বরিশাল জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ড. মো. মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, ‘জেলার ৫ থেকে ১০ ভাগ গরু লাম্পি রোগে আক্রান্ত। এটা মশামাছিবাহিত রোগ। সম্পূর্ণ নতুন এ রোগের তেমন কোনো প্রতিষেধক নেই। তাই খামারিদের মশামাছি প্রতিরোধে ব্যবস্থা নেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।’