মুন্সিগঞ্জের সিরাজদিখানে ঢাকা-মাওয়া এক্সপ্রেসওয়েতে বাসের চাপায় অ্যাম্বুলেন্সের পাঁচ যাত্রী নিহত হওয়ার ঘটনায় চালককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
মঙ্গলবার সকালে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতাল এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তার ব্যক্তির নাম মো. ফয়সাল (৪৫)। তিনি ভোলার চরফ্যাশনের মো. ফারুকের ছেলে।
হাঁসাড়া হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আবদুল কাদের জিলানী গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, গত ৮ মে দুর্ঘটনার পর সিরাজদিখান থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়, যেখানে ফয়সাল ১ নম্বর আসামি। দুর্ঘটনার পর থেকে তিনি ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে তার অবস্থান নিশ্চিত করে পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করে।
এর আগে, মামলার অপর দুই আসামি বাসের সুপারভাইজার কল্যাণ বিশ্বাস ও চালকের সহকারী মো. সাইফুল ইসলাম শান্তকে দুর্ঘটনার দিনই গ্রেপ্তার করা হয়।
৮ মে সকালে মাদারীপুর হাসপাতাল থেকে অ্যাম্বুলেন্সে রোজিনা বেগম নামের এক অন্তঃসত্ত্বাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হচ্ছিল। পথিমধ্যে সিরাজদিখানের নিমতলা এলাকায় অ্যাম্বুলেন্সের চাকা ফেটে বিকল হয়ে যায়। এ সময় মহাসড়কের পাশে অ্যাম্বুলেন্স থামিয়ে চাকা মেরামত করছিলেন চালক এবং যাত্রীরা পাশে দাঁড়িয়ে ছিলেন।
দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে ঢাকাগামী গোল্ডেন লাইন পরিবহনের একটি বাস অ্যাম্বুলেন্সের পেছনে সজোরে ধাক্কা দেয়। এতে ঘটনাস্থলে রোজিনার শাশুড়ি শাহেদা বেগম (৫৮) নিহত হন। আহত হন অ্যাম্বুলেন্সের চালকসহ রোজিনার অন্যান্য স্বজনরা। পরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে রোজিনার শ্বশুর আবদুস সামাদ ফকির (৬৫), স্বামী হাফেজ বিল্লাল (৩৬), ননদ হাফেজা আফসানা (২৪) ও অ্যাম্বুলেন্সের চালক মাহবুব (২৮) মারা যান।
এ ঘটনায় রোজিনার মামা শ্বশুর সারোয়ার শেখ সিরাজদিখান থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। পুলিশ ইতোমধ্যে তিনজন আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে এবং মামলার তদন্ত চলছে।
বিডি প্রতিদিন/নাজিম