সংরক্ষণ করতে না পারায় কৃষকের উৎপাদিত পচন ধরা আলু বস্তায় বস্তায় পুকুরে-ডোবায় ও পাকা সড়কের দুই পাশে ফেলে দিচ্ছেন আলুচাষিরা। লোকসানের কারণে ঋণের পাল্লা ভারী হওয়ায় দুশ্চিন্তায় এখন ঠাকুরগাঁওয়ের কৃষকরা। এ অবস্থায় কৃষি বিভাগের পক্ষ থেকে কোনো ধরনের পরামর্শ না পাওয়ার অভিযোগ তাদের। উৎপাদনের শুরুর দিকে কৃষকরা কিছু আলু বিক্রি করতে পারলেও হিমাগারে জায়গা সংকুলান না হওয়ায় সংরক্ষণ নিয়ে পড়েন বিপাকে।
ঠাকুরগাঁও জেলা সদরের ঢোলারহাট, আঁকচা ও নারগুনসহ বেশকয়েকটি ইউনিয়ন ঘুরে দেখা গেছে, প্রান্তিক কৃষকরা উৎপাদন খরচ তুলতে বাড়তি কিংবা আশপাশে সেড নির্মাণ করে সংরক্ষণ করেন আলু। তবে দুই মাস পার না হতেই পচন ধরে সেই আলুতে। এ অবস্থায় দুশ্চিন্তায় পরেন কৃষক।
কৃষকদের অভিযোগ কৃষি বিভাগ কোন উদ্যোগ নেয়নি সংরক্ষণে। তাই উপায় না পেয়ে কৃষকরা এখন দিশেহারা।
তবে অভিযোগ অস্বীকার করে কৃষি বিভাগের এই কর্মকর্তা বলছেন পরামর্শ দিয়ে কৃষকের পাশে রয়েছেন তারা।
ঠাকুরগাঁও কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, মৌসুমে ২৭ হাজার হেক্টর জমিতে আলুর আবাদ হয়েছে। এর বিপরীতে সাড়ে ৮ লাখ মেট্রিক টন আলু উৎপাদন হয়েছে। আর জেলায় হিমাগারের সংখ্যা ১৭টি। এসব হিমাগারের ধারণ ক্ষমতা দেড় লাখ মেট্রিকটন।
আলু ব্যবসায়ী মোরশেদ আলম, আবু রায়হানসহ অনেক ব্যবসায়ী বলেন, কৃষকের উৎপাদিত আলু সংরক্ষণে বা সরকারের পক্ষ থেকে রপ্তানিতে ভূমিকা না রাখার কারণেই এমন অবস্থার সৃস্টি হয়েছে। তবে আগামীতে এমন পরিস্থিতি নিরসনে কার্যত পদক্ষেপ নিতে হবে বলে মনে করছেন তারা।
এ বিষয়ে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক মো. মাজেদুল ইসলাম বলেন, কৃষক লাভের আশায় অতিরিক্ত আলু আবাদ করেছে। অনেকে স্টোরেজে জায়গা পায়নি, যার কারণে আলু নষ্ট হচ্ছে। এরপরেও আমরা আমাদের পক্ষ থেকে পরামর্শ দিয়ে যাচ্ছি।
বিডি প্রতিদিন/এএ