সাবেক প্রেসিডেন্ট ও বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের ৪৪তম শাহাদাতবার্ষিকী উপলক্ষে আট দিনের কর্মসূচি ঘোষণা করেছে দলটি। গতকাল রাজধানীর গুলশানে চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে বিএনপি ও এর অঙ্গ-সংগঠনের যৌথ সভা শেষে সংবাদ সম্মেলনে দলের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী আগামী ২৬ মে থেকে ২ জুন পর্যন্ত আট দিনের এ কর্মসূচি ঘোষণা করেন। যৌথ সভায় ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে সভাপতিত্ব করেন থাইল্যান্ডের ব্যাংককের একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থাকা বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। ১৯৮১ সালের ৩০ মে প্রেসিডেন্ট থাকা অবস্থায় চট্টগ্রাম সার্কিট হাউসে একদল বিপথগামী সৈন্যের গুলিতে নিহত হন জিয়াউর রহমান। দিনটি ‘শাহাদাৎ দিবস’ হিসেবে পালন করে বিএনপি। রুহুল কবির রিজভী বলেন, ৭ জুন (সম্ভাব্য) কোরবানির ঈদ। সেজন্য আমাদের কর্মসূচি কিছুটা সংক্ষিপ্ত করা হয়েছে। কর্মসূচি হবে আট দিনব্যাপী। অর্থাৎ ২৫ মে থেকে ২ জুন পর্যন্ত। ৩০ মে সকাল সাড়ে ১০টায় শেরেবাংলা নগরে জিয়াউর রহমানের কবরে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানানোর পাশাপাশি আলোচনা সভা, দুস্থদের মধ্যে চাল-ডাল, বস্ত্র বিতরণসহ বিভিন্ন কর্মসূচি রয়েছে।
শাহাদাতবার্ষিকী উপলক্ষে দুই দিন নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়, গুলশানে চেয়ারপারসনের কার্যালয়সহ সারা দেশে দলীয় কার্যালয়ে বিএনপির পতাকা অর্ধনমিত রেখে কালো পতাকা উত্তোলন করা হবে। বিএনপিসহ অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনগুলো জিয়াউর রহমানকে নিয়ে পোস্টার প্রকাশ করবে এবং বিভিন্ন জাতীয় দৈনিকে বিশেষ ক্রোড়পত্র প্রকাশের ব্যবস্থা নেবে। কর্মসূচির মধ্যে আছে, ২৯ মে বিকাল ৩টায় রমনার ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে আলোচনা সভা, ৩০ মে সকাল সাড়ে ১০টায় শেরেবাংলানগরে জিয়াউর রহমানের কবরে শ্রদ্ধার্ঘ অর্পণ এবং মসজিদে মসজিদে গণদোয়া প্রভৃতি। এ ছাড়া ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ বিএনপির উদ্যোগে বিভিন্ন থানা ও ওয়ার্ডে দুস্থদের মধ্যে চাল-ডালসহ ও বস্ত্র বিতরণ করা হবে। কেন্দ্রীয় কর্মসূচি ছাড়াও সারা দেশে জেলা ও উপজেলা-থানা-পৌর ইউনিটগুলোও জিয়াউর রহমানের স্মরণে আলোচনা সভা, দুস্থদের মধ্যে খাবার ও বস্ত্র বিতরণসহ বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করবে। যৌথ সভায় বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন, শহীদ উদ্দীন চৌধুরী এ্যানি, আবদুস সালাম আজাদ, প্রচার সম্পাদক সুলতান সালাউদ্দিন টুকুসহ দলের অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনগুলোর নেতারা উপস্থিত ছিলেন।