ফেনীর পরশুরাম উপজেলায় ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মসজিদভিত্তিক শিশু ও গণশিক্ষা কার্যক্রম প্রকল্পের মডেল কেয়ারটেকার ও যুবলীগ নেতা একরামুল হক চৌধুরীকে গ্রেপ্তার করেছে পরশুরাম মডেল থানা পুলিশ।
মঙ্গলবার (২০ মে) সকাল ১১টায় উপজেলা কলেজ রোডের ইসলামিক ফাউন্ডেশন অফিস থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
পুলিশ জানায়, একরামুল হকের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজি, ক্ষমতার অপব্যবহার এবং রাষ্ট্রীয় অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ রয়েছে।
ইসলামিক ফাউন্ডেশনের একাধিক শিক্ষক নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানিয়েছেন, কেন্দ্রভিত্তিক শিক্ষক নিয়োগে ঘুষ গ্রহণের অভিযোগ ছাড়াও তিনি নিয়োগপ্রাপ্ত শিক্ষকদের হয়রানি করে আসছিলেন।
ফাউন্ডেশনের বিভিন্ন কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ বাধ্যতামূলক করার পাশাপাশি কেন্দ্র বাতিলের হুমকি দিয়ে নিয়মিত আর্থিক চাপ প্রয়োগ করতেন বলেও জানা যায়।
সরেজমিন অনুসন্ধানে জানা গেছে, নতুন প্রকল্পে কেন্দ্র দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে একরামুল হক শিক্ষকদের কাছ থেকে অর্থ আদায় করেছেন।
স্থানীয়রা অভিযোগ করেন, তার শ্বশুর মনসুর মোল্লা, পরশুরাম উপজেলা আওয়ামী লীগের ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক, এবং একই প্রকল্পের অপর কেয়ারটেকার—দু’জনে মিলে একাধিক ভুয়া কেন্দ্র পরিচালনার মাধ্যমে সরকারের লক্ষ লক্ষ টাকা আত্মসাৎ করেছেন।
স্থানীয়দের ভাষায়, “এ যেন এক ধরনের ‘জামাই-শ্বশুর ফাউন্ডেশন’।”
এছাড়া গত ৪ আগস্ট ফেনীর মহিপালে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার উপর সংঘটিত হামলার সমর্থনে অনুষ্ঠিত যুবলীগের মিছিলে একরামুল হক চৌধুরী সামনে থেকে নেতৃত্ব দেন। এ ঘটনায় এলাকায় ব্যাপক ক্ষোভ ও অসন্তোষের সৃষ্টি হয়।
পরশুরাম থানার ওসি নুরুল হাকিম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, “বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ফেনীতে দায়ের করা হত্যা মামলায় তাকে গ্রেপ্তার করে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।”
বিডি প্রতিদিন/আশিক