রাজধানীর যাত্রাবাড়ীতে একটি বাসাবাড়িতে এসি বিস্ফোরণের ঘটনায় দগ্ধ তুহিনের (৩৮) মৃত্যু হয়েছে।
বুধবার দুপুরের দিকে জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটেড নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের আবাসিক চিকিৎসক ডা. শাওন বিন রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, হাসপাতালে নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শরীরে ৪৭ শতাংশ দগ্ধ নিয়ে তুহিন মারা যান।
এই চিকিৎসক জানান, এই ঘটনায় তুহিনের স্ত্রী ইবা আক্তারের ১৫ শতাংশ এবং তাদের দুই সন্তান তানভীর ৪০ শতাংশ ও তাওহীদ এর শরীরে ৮ শতাংশ দগ্ধ রয়েছে। তাদের সবাইকেই হাসপাতালে পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে।
দগ্ধ ইবার বোন ফারজানা আক্তার সাংবাদিকদের জানান, ঘটনার সময় সবাই গভীর ঘুমে ছিলেন। হঠাৎ এসি থেকে বিস্ফোরণের বিকট শব্দ হয় এবং মুহূর্তেই ঘরে আগুন ধরে যায়। এতে ঘুমন্ত চারজনই আগুনে দগ্ধ হন। পরে প্রতিবেশীরা পানি ঢেলে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে এবং আহতদের দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে আজ দুপুরের দিকে আইসিইউতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তুহিন।
এর আগে, শুক্রবার রাত দেড়টার দিকে ধলপুর বউবাজার লিচুবাগান মসজিদের পাশের একটি বহুতল ভবনের সপ্তম তলায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
তুহিন রাজধানীর মতিঝিলের মোতালেব প্লাজায় একটি মোবাইল সার্ভিসিং দোকানে কাজ করতেন। তার বাড়ি মাদারীপুর সদর উপজেলায়।
বিডি প্রতিদিন/কেএ