শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের যাত্রী পার্কিংয়ে পরিত্যক্ত অবস্থায় পাওয়া ইন্দোনেশিয়ান নাগরিকের গুরুত্বপূর্ণ ডকুমেন্টসের ব্যাগ ফেরত দেওয়া হয়েছে। এ কাজে সময় লেগেছে ১২ দিন।
বিমানবন্দরের জনসংযোগ কর্মকর্তা প্রকৌশলী মোহাম্মদ ইব্রাহীম খলিল জানিয়েছেন, গত ৩০ আগস্ট একটি ব্যাগ চট্টগ্রাম শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের যাত্রী পার্কিংয়ে পরিত্যক্ত অবস্থায় পাওয়া যায়। পরবর্তীতে ব্যাগটি পার্কিং থেকে বিমানবন্দরের নিরাপত্তা শাখায় জমা করা হয়। দায়িত্বরত নিরাপত্তা কর্মকর্তা পলাশ সাহা ও তারেক জিয়া উদ্দিন ব্যাগেজের স্ক্যানিং সম্পন্ন করান এবং তাতে কী কী রয়েছে সেগুলো লিপিবদ্ধ করেন এবং সবশেষে নিরাপত্তা শাখায় সেগুলো জমা করেন।
ব্যাগে একটি ল্যাপটপ, মেডিসিন, গেমিং ডিভাইস, বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সার্টিফিকেট এবং একটি নথি পাওয়া যায়। ওই নথি পর্যালোচনা করে দেখা যায়, ব্যাগেজের মালিকের নাম অ্যাডে মোখাম্মদ এবং তিনি ইন্দোনেশিয়ান নাগরিক। এছাড়াও তিনি জাহাজে কেবিন ক্রু হিসেবে কর্মরত।
বিমানবন্দরে এ ধরনের হারানো ব্যাগেজের ক্ষেত্রে নিরাপত্তা শাখার অনুকূলস্থ স্টোরে সংরক্ষণ করে রাখা হয়, যতক্ষণ না পর্যন্ত কোনো ব্যক্তি ব্যাগেজের খোঁজে আসেন। মোটামুটি ১১ দিন পরও কেউ ব্যাগটির খোঁজ করতে আসেনি। যেহেতু ব্যাগটিতে বিদেশি নাগরিকের বিভিন্ন ক্রু সার্টিফিকেট ও অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ নথি ছিল, এমতাবস্থায় ব্যাগের প্রকৃত মালিককে খুঁজে পাওয়া ছিল যথেষ্ট কষ্টসাধ্য।
এরই পরিপ্রেক্ষিতে পরবর্তীতে বিমানবন্দরের আরেক নিরাপত্তা কর্মকর্তা মো. বাদশা ফয়সাল পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে কর্মরত এক বন্ধুর সহযোগিতা চান যাতে করে ইন্দোনেশিয়ান দূতাবাসে ব্যাগটি পৌঁছে দেওয়া সম্ভব হয়।
গত ১২ সেপ্টেম্বর বাদশা ফয়সাল সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে (ফেসবুকে) ব্যাগটি পাওয়া ব্যক্তির নাম দিয়ে খোঁজ করতে থাকেন এবং সৌভাগ্যক্রমে খুঁজে পান। তৎক্ষণাৎ তিনি তাকে মেসেঞ্জারে নক দেন এবং তার ডকুমেন্টেস এর ইতোপূর্বে তোলা কিছু ছবি শেয়ার করেন। পরবর্তীতে তিনি মেসেজের রিপ্লাই দেন এবং তার শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে হারানো নথিসহ ব্যাগেজটির ব্যাপারে আরও তথ্য দেন। তখন তার সাথে আরও বিস্তারিত কথা বলা হয় এবং তাকে জানানো হয় যে, তার ব্যাগটি সব ডকুমেন্টেসহ চট্টগ্রাম শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের নিরাপত্তা শাখায় জমা আছে।
আশ্বস্ত হয়ে তিনি আবেগে আপ্লুত হয়ে পড়েন এবং বিমানবন্দরের নিরাপত্তা শাখাকে ভিডিও বার্তায় ধন্যবাদ জানান। এরই পরিপ্রেক্ষিতে গত ১৩ সেপ্টেম্বর ওই যাত্রীর স্থানীয় এজেন্ট (প্রতিনিধি) এসে বিমানবন্দরের নিরাপত্তা শাখা থেকে ব্যাগটি বুঝে নেন।
বিডি প্রতিদিন/জুনাইদ