তীব্র গরম আর কাঠফাটা রোদে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে সিলেটের বিশ্বনাথ উপজেলার মানুষের জীবন। জ্যৈষ্ঠের প্রচন্ড খররৌদ্রে অতিষ্ঠ হয়ে হাঁসফাঁস করছে মানুষ। গত কুরবানির ঈদের দিন (৭ জুন) থেকেই ত্রাহি অবস্থা। সকাল থেকেই প্রখর হয়ে উঠে রোদের তাপ। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে অসহনীয় তাপদাহে বাড়ে অসহ্য গরম।
মধ্য দুপুরে যেন আগুণের ফুলকি হয়ে ঝরে সূর্য্যের তাপ। রাতেও কমতে চায় না এ তাপমাত্রা। এ অবস্থায় প্রয়োজন ছাড়া ঘর থেকে বের হচ্ছেন না অনেকে। হাট-বাজারে মানুষের উপস্থিতি নগন্য। বিপাকে পড়েছেন খেটে খাওয়া মানুষ।
সরেজমিন দেখা যায়, রাস্তা ঘাটে কমেছে পথচারীদের চলাচল। তেমন একটা চলছেনা যানবাহনও। গরম থেকে শারীরিক প্রশান্তি ও তৃষ্ণা মেটাতে ডাবের পানি, তালের শাস, জাম ও কোমল পানীয় গ্রহণ করছেন সব বয়সি মানুষ। সব থেকে বেশিই বিক্রি হচ্ছে লেবুর ঠান্ডা শরবত। পথ চলতে গিয়ে গাছের ছায়ায় একটু জিরিয়ে নিতেও দেখা গেছে পথচারীদের। গরমে একটু প্রাণ জুড়াতে বিভিন্ন স্থানে পুকুর-জলাশয়ে শিশুদের দূরন্তপনায় মেতে উঠতে দেখা যায়।
কাজের সন্ধানে পার্শ্ববর্তী ছাতক উপজেলা থেকে আসা নির্মাণ শ্রমিক সুহেল মিয়া বলেন, দুই দিন থেকে ঘুরছি। এখনও কাজ পাইনি। যে গরম পড়েছে জীবন রক্ষা করাই মুশকিল। বাড়ি ফিরে যাবো কি না ভাবতেছি।
বাজারের ব্যবসায়ীরা জানান, ঈদের পর থেকেই ভাটা পড়েছে বাজারে। গরমের কারণে মানুষজনের উপস্থিতি একেবারেই কম।
সিলেট আবহাওয়া অফিসের আবহাওয়াবিদ শাহ মো: সজিব হোসাইন ‘বাংলাদেশ প্রতিদিন কে বলেন, সিলেট বিভাগে গতকালের তাপমাত্রা ছিলো ৩৫.৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। বৃষ্টিপাত না হওয়ার আগ পর্যন্ত তাপমাত্রা এভাবেই থাকতে পারে।
বিডি প্রতিদিন/হিমেল