পটুয়াখালীর পর্যটন কেন্দ্র কুয়াকাটার সৈকতে ফের ভেসে এসেছে ৩ ফুট দৈর্ঘ্যের একটি ইরবাতী প্রজাতির মৃত ডলফিন।
বুধবার সন্ধ্যায় সৈকতের ট্যুরিজম পার্ক সংলগ্ন এলাকায় মৃত এ ডলফিনটি ভেসে আসে। সাগর থেকে তীরে আসার পর এটিকে দেখতে ভিড় জমায় পর্যটক সহ স্থানীয় মানুষ। তবে ডলফিনটির শরীরের চামড়া অনেকটা উঠে গেছে। এছাড়া শরীরে বিভিন্ন স্থানে ক্ষত রয়েছে।
খবর পেয়ে ডলফিনটি উদ্ধার করে মাটিচাপা দিয়েছে ডলফিন রক্ষা কমিটি ও কুয়াকাটা পৌরসভার পরিচ্ছন্ন কর্মীরা। চলতি বছরে এটি সহ মোট সাতটি মৃত ডলফিন সৈকতের বিভিন্ন পয়েন্টে ভেসে এসেছে বলে ডলফিন রক্ষা কমিটির সূত্রে জানা গেছে।
ডলফিন রক্ষা কমিটির টিম লিডার রুমান ইমতিয়াজ তুষার বলেন, শেষ বিকেলে সৈকতের ট্যুরিজম পার্ক পয়েন্টে ইরাবতী প্রজাতির মৃত ডলফিনটি ভেসে আসে। আমাদের সদস্য কেএম বাচ্চু বিষয়টি আমাদের জানালে তাৎক্ষণিকভাবে পৌরসভা ও বন বিভাগকে অবহিত করি। গত ৮ বছর ধরে আমরা ডলফিন মৃত্যুর কারণ উদঘাটনের দাবি জানিয়ে আসছি।
মহিপুর রেঞ্জ কর্মকর্তা মনিরুজ্জামান বলেন, খবর পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে আমাদের টিম ঘটনাস্থলে গেছে। ডলফিনটি যাতে দুর্গন্ধ ছড়াতে না পারে, সে জন্য দ্রুত মাটিচাপা দেওয়ার ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
ওয়ার্ল্ডফিস গবেষণা সহকারি মো.বক্তিয়ার রহমান বলেন, কোন নৌযান বা জেলেদের অসচেতনতা কারণে আঘাত প্রাপ্ত হয়ে ডলফিনটি মারা যেতে পারে। এছাড়া দূষিত পানি, বর্জ্য প্লাস্টিক তেল ইত্যাদির কারণেও মারা যেতে পারে। তবে এদের সংরক্ষণ করার জন্য স্থানীয় জেলেদের মধ্যে সচেতনতা বৃদ্ধি এবং ডলফিন অভয়ারণ্য এলাকায় জাল বিশেষ করে অবৈধ জালের ব্যবহার বন্ধ করা জরুরি।
উল্লেখ্য, মঙ্গলবার দুপুর তিনটায় সৈকতের ঝাউ বাগান এলাকায় ৬ ফুট দৈর্ঘ্যের আরও একটি মৃত ইরাবতী প্রজাতির ডলফিন ভেসে এসেছিলো।
বিডি প্রতিদিন/নাজিম