রাজধানীর মোহাম্মদপুরে মিন্টু (২৫) নামে বিএনপির এক নেতাকে কুপিয়ে হত্যার ঘটনায় দুজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। মিন্টু মোহাম্মদপুরের ২৯ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির ৩ নম্বর ইউনিটের কোষাধ্যক্ষ। গত সোমবার মোহাম্মদপুরের তাজমহল রোডে তাকে কুপিয়ে আহত করা হয়। পরে জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউটে ভর্তি করা হলে গতকাল ভোরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় গ্রেপ্তাররা হলেন জালাল ও নিলুফা আক্তার।
পুলিশ বলছে, সোমবার সকালে তাজমহল রোডে মিন্টুসহ তিনজনের ওপর হামলা চালায় সন্ত্রাসীরা। হামলার পর মিন্টু ও তার সঙ্গে থাকা তুহিন জম্মাদার ও জহিরুল ইসলামকে প্রথমে শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয় এবং পরে তাদেরকে জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউটে স্থানান্তর করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মিন্টু মারা যান। ঘটনার পর মারামারির অভিযোগ এনে আহত তুহিনের স্ত্রী টুলু আক্তার বাদী হয়ে মামলা করেন। মিন্টুর মৃত্যুর পর এখন এই মামলাটি হত্যা মামলায় স্থানান্তর হবে বলে জানিয়েছে মোহাম্মদপুর থানা পুলিশ। মামলায় সাতজনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত কয়েকজনকে আসামি করা হয়েছে।
মামলার বরাত দিয়ে পুলিশ বলছে, সোমবার মোহাম্মদপুর টাউন হলে বিএনপি কর্মসূচি শেষ করে মিন্টু, তুহিন ও জহিরুল একসঙ্গে বাসার দিকে ফিরছিলেন। তাদের তিনজনের বাসা মোহাম্মদপুরের আজিজ মহল্লা এবং তাজমহল রোডে। তারা মোটরসাইকেলে করে ফেরার সময় তাজমহল রোডে কিশলয় স্কুলের সামনে জটলা দেখে থামেন এবং তুহিন সেখানে থাকা পরিচিত জালাল নামে একজনের কাছে বিষয়টি জানতে চান। পরে তুহিনরা চলে যাওয়ার সময় জালালসহ সেখানে জটলাকারীরা তাদের ওপর হামলা চালায়। হামলাকারীরা তুহিনের পেটে ছুরিকাঘাত করে এবং চাপাতির আঘাতে মিন্টু এবং জহিরুল গুরুতর আহত হন। হামলাকারী সবাই মাদক ব্যবসার সঙ্গে জড়িত বলে বাদী মামলায় উল্লেখ করেন।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদপুর থানার এসআই মাসুদ রানা জানান, মিন্টু হত্যা মামলার মূল আসামি জালাল ও তার মা নিলুফা আক্তারকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এ ঘটনায় জড়িত অন্যদের ধরতে অভিযান চলছে।