জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় দ্বিতীয় ক্যাম্পাসের কাজ সেনাবাহিনীর হাতে হস্তান্তর এবং ক্যাম্পাসের কাজের অগ্রগতি নিয়ে প্রশাসন থেকে সুস্পষ্ট সিদ্ধান্ত না আসলে ফের আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের দ্বিতীয় ক্যাম্পাসের আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা।
(রবিবার) বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের রফিক ভবনের নিচে 'দ্বিতীয় ক্যাম্পাস সেনাবাহিনীর কাছে হস্তান্তর চাই আন্দোলনের আন্দোলনকারী' শিক্ষার্থীরা এক সংবাদ সম্মেলনে এ-সব কথা জানিয়েছেন।
সংবাদ সম্মেলনে শাখা ছাত্র অধিকার পরিষদের সভাপতি রাকিব লিখিত বক্তব্যে বলেন, ‘আপনারা অবগত আছেন যে গত ১২ নভেম্বর দ্বিতীয় ক্যাম্পাস সেনাবাহিনীর কাছে হস্তান্তর করা দাবিতে আন্দোলনের পরিপ্রেক্ষিতে ১৩ নভেম্বর শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের প্রধান উপদেষ্টা, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনসহ ছাত্র প্রতিনিধিদের সভা হয়। সভায় দ্বিতীয় ক্যাম্পাস-সংক্রান্ত বিষয়ে আলোচনা হয় এবং সেনাবাহিনীকে কাজ হস্তান্তরের ব্যাপারে বিশ্ববিদ্যালয় সিদ্ধান্ত নেবে জানানো হয়।’
রাকিব আরও বলেন, ‘পরবর্তী সময়ে আমরা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের সঙ্গে বসে তাদের একটা যৌক্তিক সময় দিই। কিন্তু প্রায় দেড় মাস অতিবাহিত হয়ে যাওয়ার পরও কোনো অগ্রগতি দেখতে না পেয়ে আমরা আজকে প্রশাসনের কাছে আপডেট জানতে চাই।’
ছাত্র অধিকার পরিষদের সভাপতি বলেন, ‘তাদের (বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন) কথায় এটা স্পষ্ট যে পুনরায় আমলাতান্ত্রিক জটিলতা দেখা যাচ্ছে, যা এড়ানোর জন্যই মূলত আমরা আন্দোলন করেছি। অবশেষে বলতে চাই, আমরা কোনো আমলাতান্ত্রিক জটিলতা দেখতে চাই না, লাল ফিতার দৌরােত্ম্যের মুখোমুখি আমরা হতে চাই না।’
ছাত্র অধিকার পরিষদের সভাপতি আরও বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন আমাদের জানিয়েছে এই সপ্তাহে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে মিটিং আছে। আমরা মিটিং পর্যন্ত অপেক্ষা করব এবং এই সপ্তাহের মধ্যে দ্বিতীয় ক্যাম্পাস নিয়ে কোনো সুস্পষ্ট সিদ্ধান্ত না এলে আমরা কর্মসূচি গ্রহণ করতে বাধ্য হব।’
সংবাদ সম্মেলনে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা নিম্নোক্ত বিষয়গুলো অবহিত করেন—
১. প্রথমত, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন চেয়েছে জরুরি ভিত্তিতে পিডি নিয়োগ দিতে, কিন্তু এ বিষয়ে অভিযোগ ওঠায় বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি) পরিষ্কারভাবে জানিয়েছে, পিডি নিয়োগ বিশ্ববিদ্যালয়ের নিজস্ব আইন অনুযায়ী সম্পন্ন হবে।
২. দ্বিতীয়ত, দ্বিতীয় ক্যাম্পাস-সংক্রান্ত বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ইতোমধ্যে ইউজিসি বরাবর একটি চিঠি দিয়েছে। ইউজিসি সেই চিঠিটি কয়েক দিনের মধ্যে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে পাঠাবে বলে তাদের জানিয়েছে। বিষয়টি গুরুত্বসহকারে পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে এবং দ্রুত কার্যকর সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
৩. তৃতীয়ত, ভূমি অধিগ্রহণ সম্পন্ন হয়েছে বলেও জানান বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
এ-সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষার্থী সহ শাখা ছাত্র অধিকার পরিষদের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
বিডি-প্রতিদিন/সালাহ উদ্দীন