জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে দুদকের দায়ের করা মামলায় স্বাস্থ্য অধিদফতরের আলোচিত সাবেক গাড়ি চালক আব্দুল মালেককে পাঁচ বছর এবং তার স্ত্রী নার্গিস বেগমকে তিন বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
বুধবার ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৬ এর বিচারক মো. জাকারিয়া হোসেন আসামিদের উপস্থিতিতে এ রায় দেন। রায় ঘোষণা শেষে আসামিদের সাজা পরোয়ানা দিয়ে কারাগারে পাঠানো হয়।
এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন দুর্নীতি দমন কমিশনের পাবলিক প্রসিকিউটর আসাদুজ্জামান রানা। দণ্ডের পাশাপাশি উভয় আসামিকে ২০ হাজার টাকা করে অর্থদণ্ড, অনাদায়ে তাদের আরও তিন মাস করে বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেন বিচারক।
এছাড়া আসামিদের জ্ঞাত আয়বর্হিভূত এক কোটি ১০ লাখ ৯৩ হাজার ৫০ টাকার সম্পদ রাষ্ট্রের অনুকূলে বাজেয়াপ্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন দুদক প্রসিকিউটর আসাদুজ্জামান রানা।
এদিন, রায় ঘোষণার সময় মালেককে কারাগার থেকে আদালতে হাজির করা হয়। আর জামিনে থাকা নার্গিস বেগম আদালতে হাজির হন। রায় শেষে সাজা পরোয়ানা দিয়ে তাদের কারাগারে নিয়ে যাওয়া হয়।
জ্ঞাত আয়ের উৎসের সঙ্গে অসঙ্গতিপূর্ণ এক কোটি ১০ লাখ ৯২ হাজার ৫০ টাকা মূল্যের সম্পদ অর্জনের অভিযোগে ২০২১ সালের ১৪ ফেব্রুয়ারি আব্দুল মালেক ও তার স্ত্রী নার্গিস বেগমের বিরুদ্ধে দুদকের সহকারী পরিচালক সৈয়দ নজরুল ইসলাম মামলাটি করেন। মামলাটি তদন্ত করে একই বছরের ২৭ অক্টোবর আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন নজরুল ইসলাম। ২০২২ সালের ১১ মে আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন আদালত। মামলার বিচার চলাকালে ১০ জন সাক্ষী আদালতে সাক্ষ্য দেন।
এর আগে গত ২৩ মার্চ অবৈধ সম্পদ অর্জনের দায়ে আব্দুল মালেককে পৃথক দুই ধারায় ১৩ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দেন একই আদালত। ২০২১ সালে ২০ সেপ্টেম্বর অস্ত্র আইনের মামলায় আব্দুল মালেককে দুই ধারায় ৩০ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়।
বিডি-প্রতিদিন/বাজিত