চট্টগ্রামের পটিয়ায় বসুন্ধরা শুভসংঘের উদ্যোগে মেধাবী শিক্ষার্থী সানজিদাকে আর্থিক সহায়তা প্রদান করা হয়েছে। বসুন্ধরা শুভসংঘের এই সহায়তা মূলত মেধাবী আর্থিক অসচ্ছল পরিবারের শিক্ষার্থীদের পড়ালেখা চালিয়ে যেতে উৎসাহিত করার জন্য দেওয়া হয়।
শিক্ষার্থী সানজিদা আকতার নবম শ্রেণিতে অধ্যয়নরত। সে পটিয়া উপজেলার জিরি গ্রামের বাসিন্দা এবং আবদুর রহমান সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী। তার বাবা নুরুল করিম সীমিত আয়ের কারণে মেয়ের পড়াশোনার খরচ বহন করতে হিমশিম খাচ্ছেন। এতে সানজিদার পড়ালেখা বন্ধ হওয়ার উপক্রম হয়েছে। তাই বসুন্ধরা শুভসংঘ পটিয়া শাখা সানজিদার পাশে দাঁড়িয়েছে।
মঙ্গলবার (২১ অক্টোবর) স্থানীয় একটি হলরুমে আয়োজিত অনুষ্ঠানে নবম শ্রেণির ছাত্রী সানজিদা আকতারকে নগদ অর্থ তুলে দেওয়া হয়।
পটিয়া প্রেসক্লাবের সভাপতি আবদুল হাকিম রানা বলেন, “বসুন্ধরা শুভসংঘ শুধু একটি সংগঠন নয়, এটি এখন মানবতার এক প্রতীক। দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে মেধাবী কিন্তু আর্থিকভাবে পিছিয়ে থাকা শিক্ষার্থীদের পাশে দাঁড়িয়ে সংগঠনটি যে কাজ করছে, তা সত্যিই প্রশংসনীয়।”
বসুন্ধরা শুভসংঘ বৃহত্তর চট্টগ্রাম শাখার সভাপতি এস. এম. এ. জুয়েল বলেন, “আমাদের মূল লক্ষ্য হলো, কোন মেধাবী শিক্ষার্থী যেন অর্থাভাবে পড়াশোনা বন্ধ না করে। আমরা নিয়মিতভাবে বিভিন্ন এলাকায় এমন শিক্ষার্থীদের খুঁজে বের করছি, যারা সহায়তা পেলে তাদের স্বপ্ন পূরণ করতে পারে। বসুন্ধরা শুভসংঘ শিক্ষা, পরিবেশ, সমাজসেবা ও মানবিক কাজে দেশের সর্বত্র কাজ করছে।”
অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন শুভসংঘের বন্ধু আবুল হোসাইন, রুপেস মুৎসুদ্দি, মো. সোলাইমান, পারভেজ, সাইমন, হোসাইন তানবির প্রমুখ। তারা সকলেই বসুন্ধরা শুভসংঘের এমন উদ্যোগকে এগিয়ে নিতে একযোগে কাজ করার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন।
বসুন্ধরা শুভসংঘের সহায়তা পেয়ে সানজিদা আকতার বলেন, “আমি খুব খুশি। বসুন্ধরা শুভসংঘের সহায়তায় এখন আমার পড়াশোনা চালিয়ে যেতে পারব। আমি বড় হয়ে একজন শিক্ষক হতে চাই, যেন অন্যদেরও পড়াশোনায় সাহায্য করতে পারি।”
বৃত্তি প্রদান অনুষ্ঠানে উপস্থিত অতিথিরা বলেন, বসুন্ধরা শুভসংঘ শুধু সহায়তা প্রদানেই সীমাবদ্ধ নয়, বরং এটি তরুণদের মধ্যে সমাজের প্রতি দায়িত্ববোধ জাগিয়ে তুলছে।
বিডি-প্রতিদিন/তানিয়া