বাংলাদেশের বিপক্ষে তিন ম্যাচ সিরিজের দ্বিতীয় ওয়ানডেতে জয় পেয়েছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। এতে ১-১ ব্যবধানে সিরিজে সমতায় ফিরল ক্যারিবীয়রা।
মঙ্গলবার টস জিতে আগে ব্যাটিংয়ে নেমে ৫০ ওভারে ৭ উইকেট হারিয়ে ২১৩ রান করে বাংলাদেশ। জবাবে খেলতে নেমে ৫০ ওভারে ৯ উইকেট হারিয়ে ২১৩ রান করে উইন্ডিজ। ফলে ম্যাচটি সুপার ওভারে গড়ায়।
সুপার ওভারে প্রথমে ব্যাটিংয়ে নেমে এক উইকেট হারিয়ে ১০ রান তোলে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। জবাবে এক উইকেট হারিয়ে ৯ রান করে বাংলাদেশ।
এর আগে, মিরপুর শের-ই বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে বাংলাদেশের শুরুটা ভালো হয়নি। নিয়মিত উইকেট হারালেও একপাশ আগলে রেখে লড়েছেন সৌম্য সরকার। ৮৯ বল খেলে ৩টি চার ও ১টি ছক্কায় ৪৫ রান করেন তিনি, যা ছিল দলের পক্ষে সর্বোচ্চ স্কোর। তবে তার ইনিংস ছিল বেশ ধীরগতির। মিডল অর্ডারের ব্যর্থতায় ইনিংস বড় করা সম্ভব হয়নি। নুরুল হাসান সোহান কিছুটা চেষ্টা করেন। ২৪ বলে ২৩ রানের ইনিংস খেলে আউট হন তিনিও। শেষ দিকে রিশাদ হোসেনের ক্যামিওতে মাত্র ১৪ বলে ৩৯ রানের অপরাজিত ইনিংসে দুইশো পার হয় বাংলাদেশের।
২১৪ রানের লক্ষ্যে খেলতে নেমে নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে সফরকারীরা। ইনিংসের প্রথম ওভারেই ব্র্যান্ডন কিংকে শূন্য রানে ফিরিয়ে দেন নাসুম আহমেদ। এরপর অ্যালিক অথানেজকে ২৮ রানে ও কিসি কার্টিকে ৩৫ রানে ফিরিয়ে দেন লেগ স্পিনার রিশাদ হোসেন। তবে অধিনায়ক শাই হোপ একপ্রান্ত আগলে রেখে লড়েছেন ধৈর্যের সঙ্গে। তিনি প্রায় একাই লড়াই করে তুলে নেন ফিফটি। তার ব্যাট থেকে আসে ৬৭ বলে ৫৩ রান।
একপর্যায়ে জয়ের একেবারে দোরগোড়ায় পৌঁছে যায় ওয়েস্ট ইন্ডিজ। হাতে দুই উইকেট ছিল, তখন শেষ ওভারে দরকার মাত্র ৫ রান। ক্রিজে ছিলেন অভিজ্ঞ ব্যাটার শাই হোপ। কিন্তু সাইফ হাসানের ঠাণ্ডা মাথার বোলিংয়ে ম্যাচে ফিরে আসে বাংলাদেশ। শেষ পর্যন্ত নির্ধারিত ওভারে ২১৩ রানেই থেমে যায় ওয়েস্ট ইন্ডিজের ইনিংস, ফলে ম্যাচ গড়ায় সুপার ওভারে।
বিডি প্রতিদিন/এমআই