মথুরডাঙা এলাকার আশরাফ আলী বলেন, প্রতিবারই বৃষ্টি হলে এলাকার রাস্তাঘাট ডুবে যায়। এবারও একই অবস্থা। একদিনের বৃষ্টিতেই জলাবদ্ধতা। বাসা থেকে বের হতে পারি না। সিটি করপোরেশন শুধু আশ্বাস দেয়, কাজ করে না।
রাজশাহী নগরীর বিভিন্ন সড়কে নির্মাণ হচ্ছে উড়ালসড়ক। কোথাও থমকে আছে কাজ। কবে শুরু হবে সে কাজ, তা জানা নেই সিটি করপোরেশনের। এমন অবস্থায় বৃষ্টি হলেই সৃষ্টি হচ্ছে জলাবদ্ধতা। বাড়ছে মানুষের দুর্ভোগ।
থেমে থেমে টানা কয়েকদিনের বৃষ্টিতে রাজশাহী নগরীতে জলাবদ্ধতা ও জনদুর্ভোগ বেড়েছে। বিশেষ করে গত মঙ্গলবারের টানা বৃষ্টিতে এ দুর্ভোগ আরও চরম আকার ধারণ করেছে। সোমবার রাত থেকে মঙ্গলবার রাত পর্যন্ত নগরজুড়ে কখনো মাঝারি, আবার কখনো মুষলধারে বৃষ্টি হয়েছে। এতে ভোগান্তিতে পড়েছে মানুষ।
টানা বৃষ্টিতে নগরীর নিচু এলাকা ১৫, ১৬, ১৭, ১৮, ৬, ৭, ৩, ১৯ নম্বর ওয়ার্ডের বিভিন্ন পাড়া-মহল্লার রাস্তাগুলোতে জলাবদ্ধতা দেখা দিয়েছে। শুধু জলাবদ্ধতাই নয়, ড্রেনের ময়লা পানি বৃষ্টির পানির সঙ্গে মিশে গিয়ে রাস্তায় উঠে আসায় স্বাস্থ্যগত দিক দিয়েও দুর্ভোগে পড়েছেন নগরবাসী। নগরবাসীর অভিযোগ, নগরীর সড়ক, ড্রেনেজ, সুয়ারেজসহ উন্নয়নকাজের ধীরগতি ও নিচু এলাকার ড্রেন নিয়মিত পরিষ্কার না করার কারণে বৃষ্টি এবং জলাবদ্ধতার কাছে তারা জিম্মি হয়ে পড়েছেন। এসব পানি না নামা পর্যন্ত তাদের ভোগান্তির শেষ নেই। নগরী ঘুরে দেখা গেছে, টানা বৃষ্টিতে নগরীর বেশির ভাগ রাস্তাঘাটের ড্রেন উপচে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে।
মথুরডাঙা এলাকার আশরাফ আলী বলেন, প্রতিবারই বৃষ্টি হলে এলাকার রাস্তাঘাট ডুবে যায়। এবারও একই অবস্থা। এক দিনের বৃষ্টিতেই জলাবদ্ধতা। বাসা থেকে বের হতে পারি না। সিটি করপোরেশন শুধু আশ্বাস দেয়, কাজ করে না। দাসপুকুর এলাকার শিল্পী খাতুন বলেন, ফ্লাইওভারের কাজের জন্য রাস্তা বন্ধ। পানি নামবে সেই ব্যবস্থা নেই। বৃষ্টি হলে এ এলাকার মানুষের দুর্ভোগের শেষ থাকে না।
রাজশাহী সিটি করপোরেশনের ভারপ্রাপ্ত তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী আহমদ আল মঈন জানান, কিছু এলাকায় উন্নয়ন কাজ চলমান থাকায় কিছুটা জলাবদ্ধতা হচ্ছে। তবে তা দীর্ঘ সময় থাকে না। এ ছাড়া জলাবদ্ধতা যাতে না হয়, সেজন্য ড্রেনেজ ব্যবস্থা ভালো আছে।