পবিত্র ঈদুল ফিতর ঘিরে রংপুর বিনোদন উদ্যান চিড়িয়াখানায় নতুন নতুন প্রাণী সংযোজন হচ্ছে। দর্শনার্থীদের বিনোদন দিতে নানা প্রস্তুতি নিয়েছে চিড়িয়াখানা কর্তৃপক্ষ। গত রবিরার আনা হয়েছে একটি জিরাফ। এর সঙ্গীও শিগগিরই চলে আসবে। এ ছাড়া এক জোড়া মায়া হরিণ, এক জোড়া এরাবিয়ান ঘোড়া, এক জোড়া হলুদ ময়না পাখি অনুমোদন পেয়েছে। এসব প্রাণী খুব দ্রুত চলে আসবে। বর্তমানে রংপুর চিড়িয়াখানায় ৩১ প্রজাতির ২৬০টি প্রাণী রয়েছে। চিড়িয়াখানায় যে সব প্রাণী রয়েছে সেগুলো হলো- বাঘ দুটি, সিংহ দুটি, জলহস্তী তিনটি, ময়ূর আটটি, হরিণ ৬২টি, অজগর সাপ দুটি, ইমু তিনটি, উটপাখি একটি, বানর ৯টি, কেশওয়ারি একটি, গাধা আটটি, ঘোড়া দুটিসহ বিভিন্ন প্রজাতির পাখি। তবে চিড়িয়াখানায় অতিরিক্ত হরিণ নিয়ে বিপাকে পড়েছেন কর্তৃপক্ষ। ধারণ ক্ষমতার বেশি হরিণ থাকায় একদিকে যেমন চিড়িয়াখানা কর্তৃপক্ষের ব্যয় বাড়ছে অপরদিকে গাদাগাদি করে থাকায় হরিণের স্বাস্থ্যগত সমস্যা হচ্ছে। চিড়িয়াখানা থেকে হরিণ বিক্রি করার নিয়ম থাকলেও বিভিন্ন আইনি জটিলতার কারণে হরিণ বিক্রি করা হচ্ছে না। রংপুর চিড়িয়াখানার ডেপুটি কিউরেটর ডা. আমবার আলী তালুকদার জানান, একটি জিরাফ আনা হয়েছে। বাকি প্রাণীগুলো অল্প সময়ের মধ্যে আনা হবে।
চিড়িয়াখানার ঠিকাদার মো. জাহিদ হোসেন যাদু জানান, পবিত্র উদুল ফিতর উপলক্ষে বিভিন্ন প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে চিড়িয়াখানার চারপাশে আলকসজ্জা করা হচ্ছে, আবর্জনা পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতার কাজ শুরু হয়েছে। এ ছাড়া দর্শনার্থীদের নিরাপত্তায় বিভিন্ন ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
প্রয়াত জাপা চেয়ারম্যান এইচ এম এরশাদ রংপুর নগরীর হনুমানতলা এলাকার ১৯৮৯ সালে গড়ে তোলেন রংপুর চিড়িয়াখানাটি। প্রতিদিন এখানে কয়েক হাজার দর্শনাথীর সমাগম হয়।