সিলেট নগরীতে দিন দিন বাড়ছে যানজট। নগরীর ব্যস্ততম সড়কগুলোতে সকাল থেকে শুরু হয় যানজট। ভোগান্তি পোহাতে হয় রাত ৮টা থেকে ৯টা পর্যন্ত। আর এই যানজটের অন্যতম কারণ যেখানে-সেখানে যানবাহন পার্কিং ও যাত্রী ওঠানামা। সিলেট নগরীর ব্যস্ততম দরগাহ গেট, চৌহাট্টা, জিন্দাবাজার, বন্দরবাজার, সুবিদবাজার, আম্বরখানা, শিবগঞ্জ ও মিরাবাজার এলাকাসহ গুরুত্বপূর্ণ সড়কগুলোতে সকাল থেকে শুরু হয় যানজট। দুর্বল ট্রাফিক ব্যবস্থা, এলোমেলো পার্কিং ও সিএনজিচালিত অটোরিকশা, হিউম্যান হলার (লেগুনা) ও টাউন বাসের যাত্রী ওঠানামার কারণে এই যানজটের সৃষ্টি হয়। সড়কে শৃঙ্খলা ফেরাতে সিলেট সিটি করপোরেশন (সিসিক) নগরীর ৩০টি স্থান অটোরিকশার স্ট্যান্ডের জন্য নির্ধারণ করে দিয়েছিল। সিসিকের প্রধান প্রকৌশলী নূর আজিজুর রহমান স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, নির্ধারিত স্ট্যান্ড ছাড়া অন্যান্য স্থানে অবৈধভাবে কোনো যানবাহনে যাত্রী ওঠানামা করতে পারবে না। কিন্তু সিসিকের এই নির্দেশনা মানছেন না পরিবহন শ্রমিকরা। সিএনজিচালিত অটোরিকশা চালকরা সিলেট নগরীতে তাদের ইচ্ছামাফিক শতাধিক স্ট্যান্ড তৈরি করেছেন। ব্যস্ততম সড়কের যেখানেই যাত্রীদের বিচরণ বেশি সেখানেই তারা স্ট্যান্ড করে যাত্রী পরিবহন করছেন। ছোটখাটো বাজার থেকে শুরু করে হাসপাতাল ও ক্লিনিকের সামনেও তারা স্ট্যান্ড বসিয়ে অটোরিকশায় যাত্রী পরিবহন করছেন। স্ট্যান্ডের কারণে সড়কের একেক স্থানে অন্তত ২০-৫০টি অটোরিকশা দাঁড় করিয়ে রাখা হয়। এতে স্ট্যান্ডের পাশের এলাকাগুলোতে যানজটের সৃষ্টি হয়। এসব অবৈধ এসব স্ট্যান্ডের পরিবহন যত্রতত্র যাত্রী ওঠানামা করায় যানজট আরও অসহনীয় হয়ে ওঠে। সিলেট নগরীর অধিকাংশ মার্কেটের নেই নিজস্ব পার্কিং ব্যবস্থা। যে কারণে মার্কেটে আসা ক্রেতারা সড়কে গাড়ি রেখে কেনাকাটা করতে যান। এতে সৃষ্টি হয় যানজটের। মাঝে-মধ্যে ট্রাফিক পুলিশ অভিযান করে সড়কের পাশে অবৈধভাবে রাখা গাড়ি রেকার করে। কিন্তু এতেও চালকদের মধ্যে সচেতনতা তৈরি না হওয়ায় সড়কের পাশে গাড়ি পার্কিং বন্ধ করা যাচ্ছে না। এ ব্যাপারে সিলেট মহানগর পুলিশের (এসএমপি) পুলিশের উপ-কমিশনার (ট্রাফিক) মোহাম্মদ মাহফুজুর রহমান বলেন, নগরীতে যত্রতত্র যাত্রী ওঠানামা নিয়ন্ত্রণে পুলিশ নিয়মিত কাজ করে যাচ্ছে। এ বিষয়ে ট্রাফিক পুলিশ নিয়মিত মামলা দিচ্ছে। তিনি বলেন, নগরীতে ধারণক্ষমতার তুলনায় কয়েক শ গুণ বেশি সিএনজিচালিত অটোরিকশা চলাচল করছে। ফলে নগরীর সড়কে বিশৃঙ্খলা তৈরি হচ্ছে। পাশাপাশি ব্যাটারিচালিত অটোরিকশাগুলো বড় একটি চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
এ অবস্থায় নির্ধারিত ৩০টি সিএনজি স্ট্যান্ড বাস্তবায়নে সিলেট সিটি করপোরেশনকেও কার্যকর ভূমিকা রাখতে হবে। একই সঙ্গে তিনি নাগরিকদেরও সচেতন হয়ে আইন মেনে চলার আহ্বান জানান।