ঈদুল আজহার টানা ছুটিকে কেন্দ্র করে দেশের অন্যতম প্রধান পর্যটন গন্তব্য কক্সবাজারে পর্যটকদের ঢল নেমেছে। সৈকতের বালিয়াড়ি থেকে শুরু করে হোটেল-মোটেল, রেস্তোরাঁ সবখানেই জমে উঠেছে পর্যটনের রঙিন চিত্র।
রবিবার (৮ জুন) ঈদের দ্বিতীয় দিন বিকেল থেকেই সৈকতজুড়ে বিপুল সংখ্যক পর্যটকের উপস্থিতি লক্ষ্য করা গেছে। আগের দিন শনিবার ঈদের প্রথম সকালে ভ্রমণপ্রেমীদের আনাগোনা তুলনামূলক কম থাকলেও বিকেলের পর থেকেই ভিড় বাড়তে শুরু করে।
সূর্যাস্ত উপভোগ করতে দলে দলে মানুষ ছুটে আসছে সমুদ্রতীরে। কেউ সাগরে নেমে স্নান করছে, কেউ ছবি তুলছে সাগরকে পেছনে রেখে, কেউ বা ঘোড়ার পিঠে কিংবা বিচ-বাইকে চড়ে উপভোগ করছে সময়। তবে সবচেয়ে বেশি মানুষ মুগ্ধ সূর্য ডোবার দৃশ্যে।
হোটেল-মোটেল ব্যবসায়ীরা বলছেন, ঈদের ছুটিতে ৭-৮ লাখ পর্যটক কক্সবাজার ভ্রমণে আসবেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। এতে পর্যটন খাতে শত কোটি টাকার লেনদেন হবে বলে আশা করছেন সংশ্লিষ্টরা। ৯ জুন থেকে পর্যটকের চাপ আরও বাড়বে বলে জানিয়েছে হোটেল কর্তৃপক্ষ।
বিশাল পর্যটক সমাগমকে কেন্দ্র করে জোরদার করা হয়েছে নিরাপত্তা ব্যবস্থা। কক্সবাজার ট্যুরিস্ট পুলিশের সহকারী পুলিশ সুপার নিত্যানন্দ দাস জানান, 'ঈদের ছুটিকে আনন্দময় রাখতে আমরা তিন স্তরের নিরাপত্তা জোরদার করেছি। সৈকতের প্রতিটি গোলঘরে রয়েছে পুলিশি টহল, ওয়াচ টাওয়ার থেকে করা হচ্ছে পর্যবেক্ষণ। মোবাইল টিম ও সাদা পোশাকে পুলিশও কাজ করছে সমুদ্রসৈকতে।'
কক্সবাজার জেলা প্রশাসনের পর্যটন সেলের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নাফিস ইনতেসার নাফি জানিয়েছেন, 'ঈদের ছুটিতে পর্যটকদের যাতে কোনো হয়রানি না হয়, সেজন্য মোবাইল টিম নিয়মিত মাঠে কাজ করছে।'
বিডি প্রতিদিন/মুসা