ঈদুল আজহার ১০ দিনের টানা ছুটিকে কেন্দ্র করে সোমবার সকাল থেকে কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকত পর্যটকদের আনাগোনায় মুখরিত হয়ে উঠছে। তিন নদীর মোহনা, লেম্বুর বন, ঝাউবাগান ও গঙ্গামতি সৈকতসহ সবকয়টি পর্যটন স্পটে কমবেশি পর্যটকদের আনাগোনা রয়েছে। আগত পর্যটকদের নিরাপত্তায় ট্যুরিস্ট পুলিশ, নৌ-পুলিশ, থানা পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা তৎপর রয়েছে।
পর্যটন সংশ্লিষ্টরা জানান, সূর্যোদয় ও সূর্যাস্ত দেখার জন্য সবার কাছেই পরিচিত নাম ‘সাগরকন্যা কুয়াকাটা’। সুযোগ পেলেই দূর-দূরান্ত থেকে ছুটে আসেন দেশি-বিদেশি নানা বয়সি মানুষ। ঈদের গত দুইদিন কাঙ্ক্ষিত পর্যটক ছিল না। তৃতীয় দিন সোমবার সকাল থেকে ব্যাপক পর্যটক লক্ষ করা গেছে। জিরো পয়েন্ট থেকে শুরু করে সৈকতের পূর্ব ও পশ্চিম দিকের কয়েক কিলোমিটার জুড়ে আনন্দ উল্লাস ও সমুদ্রস্নানে মেতেছেন এসব পর্যটকরা।
একই সাথে ভিড় বেড়েছে সৈকতের শামুক-ঝিনুকের দোকান, ডাব বিক্রেতা, চা-পানের দোকান ও খাবার হোটেলগুলোতে। এছাড়া হোটেল-মোটেল মালিক পক্ষ ঈদুল আজহা উপলক্ষে রুম বুকিংয়ে বিশেষ ছাড়ের ঘোষণাও দিয়েছে।
তানিয়া নামে এক পর্যটক জানান, ঈদের লম্বা ছুটিতে ফ্যামিলি নিয়ে কুয়াকাটায় এলাম। এখানকার প্রাকৃতিক সৌন্দর্য তাদের বিমোহিত করেছে। মোট কথা সব মিলিয়ে দারুণ এক পরিবেশ।
সারনিন নামের আরও এক পর্যটক বলেন, দক্ষিণের বাতাস আর সমুদ্রের মোহনীয় গর্জন প্রাণ যেন শীতল করেছে। সারাদিন ঘোরাঘুরির পর ইচ্ছে করছে ছাতা-বেঞ্চে ঘুমিয়ে পড়ি।
কুয়াকাটা ট্যুরিজম ম্যানেজমেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক হোসাইন আমির বলেন, ঈদের প্রথম ও দ্বিতীয় দিন পর্যটক কম ছিল। কিন্তু সোমবার সকাল থেকে পর্যটকের সংখ্যা বাড়তে থাকে। আশা করছি শুক্রবার পর্যন্ত এমন অবস্থা থাকবে।
কুয়াকাটা হোটেল-মোটেল ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক মো. মোতালেব শরিফ জানান, ঈদের ছুটিতে আসা পর্যটকদের চাহিদা অনুযায়ী সব ধরনের সুবিধা দেওয়ার চেষ্টা থাকবে। এবারে আগাম বুকিংয়ের পরিমাণ বিগত সময়ের থেকে বেশ কম।
কুয়াকাটা ট্যুরিস্ট পুলিশের ইন্সপেক্টর তাপস চন্দ্র জানান, পর্যটকদের নিরাপত্তায় বিভিন্ন স্পটে ট্যুরিস্ট পুলিশ মোতায়েন রয়েছে। এছাড়া মাঠে নৌ-পুলিশ, থানা পুলিশ এবং ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরাও রয়েছেন। আশা করছি পর্যটকরা নিরাপদে তাদের ভ্রমণ উপভোগ করতে পারবে।
বিডি প্রতিদিন/এমআই