পর্যটন কেন্দ্র কুয়াকাটার নির্জন সৈকতে সবুজ সাগরলতা আর সাদা ঝিনুকের ছড়াছড়ি। বাঁধাহীন লাল কাঁকড়ার ছুটোছুটিতে বালিয়াড়িতে তৈরি হয়েছে দৃষ্টিনন্দন আলপনা। জন্মেছে নতুন নতুন ঝাউ গাছ, আর কিছু গাছে ফুটেছে মনোমুগ্ধকর ফুল। রমজান মাসে পর্যটক, যানবাহন ও জেলেদের আনাগোনা না থাকায় কুয়াকাটার দীর্ঘ ১৮ কিলোমিটার সৈকত প্রকৃতির আপন রূপ ফিরে পেয়েছে।
স্থানীয়রা জানান, বর্ষা মৌসুম ঘনিয়ে আসায় সাগরের বিশালতা বেড়েছে। ঢেউ তীরে এসে আছড়ে পড়ছে। রমজানের শুরু থেকেই পর্যটকের আনাগোনা না থাকায় সৈকত সেজেছে অনন্য সাজে। তবে, ঈদের পরে আগত পর্যটকরাই উপভোগ করতে পারবেন এই সৌন্দর্য। পরিবেশবিদরা বলছেন, কুয়াকাটা সৈকতের জীববৈচিত্র্য ও প্রাণীকুলের স্বাভাবিক আচরণ ও বিচরণ রক্ষায় সকলকে সচেতন হতে হবে।
প্রভাষক মো. সাইদুর রহমান জানান, কুয়াকাটা এখন পর্যটকশূন্য। এই সুযোগে প্রকৃতিও তার নিজস্ব রূপে সেজেছে। সৈকতও এখন একেবারে পরিচ্ছন্ন। ঝাঁকে ঝাঁকে লাল কাঁকড়া নির্ভয়ে ছুটোছুটি করছে। এছাড়া সাগরলতা, ঝিনুকসহ বিভিন্ন জলজ প্রাণীও সহজেই দেখা যাচ্ছে।
স্থানীয় বাসিন্দা রুমি শরিফ বলেন, রমজান মাসে পর্যটকের বিচরণ না থাকায় সৈকতের প্রকৃতি পেয়েছে নতুন রূপ। লাল কাঁকড়ার সংখ্যা বেড়েছে, সংরক্ষিত বনের গাছে ফুটেছে নতুন নতুন ফুল, সৈকতজুড়ে ছড়িয়ে আছে ঝিনুক। দেখে মনে হচ্ছে প্রকৃতি ফিরে পেয়েছে তার নিজস্ব সত্তা।
কুয়াকাটা ট্যুর অপারেটর অ্যাসোসিয়েশনের (টোয়াক) যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আবুল হোসেন রাজু বলেন, রমজানের শুরু থেকে পর্যটকদের না থাকায় সৈকত নতুন সৌন্দর্যে সেজেছে। ঈদের পরে আসা পর্যটকরাই এই নৈসর্গিক দৃশ্য উপভোগ করতে পারবেন।
কুয়াকাটা ট্যুরিস্ট পুলিশ রিজিয়নের পুলিশ পরিদর্শক আহাদুজ্জামান জানান, ঈদের পর কুয়াকাটায় ব্যাপক পর্যটক সমাগম ঘটবে। পর্যটকদের সর্বোচ্চ নিরাপত্তা দিতে ট্যুরিস্ট পুলিশ প্রস্তুত রয়েছে।
বিডি প্রতিদিন/আশিক