৩ দিনের ছুটিকে কেন্দ্র করে কুয়াকাটার পর্যটন স্পটগুলোতে পর্যটকদের উপচে পড়া ভিড় লক্ষ্য করা গেছে। শুক্রবার সকাল থেকেই দীর্ঘ ১৮ কিলোমিটার সৈকত রেকর্ডসংখ্যক পর্যটকের পদচারণায় মুখর হয়ে ওঠে। আগত পর্যটকরা দলবেঁধে সমুদ্রের নোনা জলে গা ভাসিয়ে উচ্ছ্বাসে মেতে উঠেন। কেউ ঘোড়া, ওয়াটার বাইক কিংবা মোটরবাইকে ঘুরে বেড়ান, আবার কেউ সৈকতের বেঞ্চে বসে তীরে আছড়ে পড়া ঢেউ ও প্রাকৃতিক সৌন্দর্য উপভোগ করেন।
পর্যটকদের নিরাপত্তায় মাঠে ট্যুরিস্ট পুলিশ, থানা পুলিশ ও নৌ-পুলিশ তৎপর রয়েছে।
পর্যটন সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীরা জানান, এ বছরের সর্বোচ্চ সংখ্যক পর্যটক শুক্রবার কুয়াকাটায় এসেছে। এর ফলে পর্যটন ব্যবসায় ব্যাপক বিক্রি হয়েছে এবং ক্রেতাদের ভিড় সামলাতে হিমশিম খাচ্ছেন বিক্রেতারা। অধিকাংশ হোটেল-মোটেল-কটেজ-রিসোর্টে কোনো কক্ষ ফাঁকা নেই। বুকিং ছাড়া অনেক পর্যটক ভোগান্তিতে পড়েছেন।
পর্যটক রাসেল বলেন, “একই স্থানে দাঁড়িয়ে সূর্যোদয় এবং সূর্যাস্ত দেখার সুযোগ একমাত্র কুয়াকাটায় পাওয়া যায়, যা সত্যিই আনন্দদায়ক। একসঙ্গে এত মানুষ আমি এর আগে দেখিনি। যদিও এর আগে দু’বার এসেছি, এবার তিন দিনের ছুটিতে পরিবার নিয়ে এসেছি। সমুদ্রের বিশালতা আমাদের মুগ্ধ করেছে।”
পর্যটক মহিউদ্দিন বলেন, “আমরা ২০ জন বন্ধু মিলে প্রথমবারের মতো কুয়াকাটায় এসেছি। এখানের সবকিছুই ভালো লেগেছে। তবে হোটেল ভাড়া এবং খাবারের দাম কিছুটা বেশি মনে হয়েছে।”
ট্যুর অপারেটর অ্যাসোসিয়েশন অব কুয়াকাটা (টোয়াক)-এর যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আবুল হোসেন রাজু বলেন, “৩ দিনের ছুটির ফলে দেশজুড়ে বিভিন্ন স্থান থেকে পর্যটকরা কুয়াকাটায় এসেছে। নিয়মিত পর্যটক থাকলে পর্যটন-সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীরা পূর্বের লোকসান কাটিয়ে উঠতে পারবেন।”
ট্যুরিস্ট পুলিশ কুয়াকাটা রিজিয়নের সহকারী পুলিশ সুপার হাবিবুর রহমান বলেন, “পর্যটকদের নিরাপত্তায় আমাদের ট্যুরিস্ট পুলিশ সদস্যরা সর্বদা সতর্ক রয়েছে।”
বিডি প্রতিদিন/আশিক