যশোরের ঝিকরগাছায় নাতজামাইয়ের ছুরিকাঘাতে মহিউদ্দিন (৭০) নামে এক বৃদ্ধ নিহতের অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন শাশুড়িসহ আরও চারজন। আহতদের যশোর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। মঙ্গলবার রাতে ঝিকরগাছা উপজেলার নীলকণ্ঠনগর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। ঘটনার পরই নাতজামাই মোহন মোল্লা ও এক সহযোগীকে আটক করে পুলিশে দিয়েছে গ্রামবাসী। নিহতের স্বজনরা জানান, মোহন মোল্লা যৌতুকের দাবিতে স্ত্রী মিমকে শারীরিক নির্যাতন করত। এ কারণে ১৫ দিন আগে মিমকে তার মা যশোর থেকে নিয়ে যান এবং বাবার বাড়ি ঝিকরগাছার নীলকণ্ঠনগর গ্রামে রেখে আসেন। মঙ্গলবার রাত ১০টার দিকে মোহন ৩/৪ সহযোগী মিমের মা মুন্নি, নানা মহিউদ্দিন, নানি তাজুমা বেগম, মামাতো ভাই রফি উদ্দিন ও শফিউদ্দিনকে মারপিট এবং ছুরিকাঘাত করে। এদিকে পটুয়াখালীতে গভীর রাতে দুর্বৃত্তের ছুরিকাঘাতে এক অটোরিকশাচালক নিহত হয়েছেন। মঙ্গলবার গভীর রাতে সদর উপজেলার জৈনকাঠী ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের সেহাকাঠী গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। চালক মোশারফ খান (৪২) সেহাকাঠী গ্রামের হানিফ খানের ছেলে। ওসি ইমতিয়াজ আহমেদ বলেন, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে এটি পরিকল্পিত হত্যা।
ঘটনা তদন্তে পুলিশ মাঠে নেমেছে। মামলার প্রস্তুতি চলছে। লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।
নিহতের পিতা হানিফ খান জানান, দেড় বছর আগে তার ছেলে মোশারফ বাড়ি করে স্ত্রী শাহানাজ বেগম ও মেয়ে নিয়ে বসবাস করে আসছে। মঙ্গলবার রাত আনুমানিক আড়াইটার দিকে সিঁধ কেটে দুর্বৃত্তরা মোশারফের ঘরে প্রবেশ করে। তাদের উপস্থিতি টের পেয়ে স্ত্রী শাহানাজ ও মেয়ে কলি ডাকচিৎকার শুরু করে। তখন পালাতে চেষ্টা করলে মোশারফ দুর্বৃত্তদের একজনকে জাপটে ধরে। এ সময় দুর্বৃত্তরা তাকে ছুরিকাঘাত করে। লোকজন মোশারফকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। নিহত মোশারফের এক ছেলে ও এক মেয়ে রয়েছে।