বাংলাদেশের ওয়ানডে বিশ্বকাপ যাত্রা শুরু হচ্ছে বৃহস্পতিবার (২ অক্টোবর)। নিগার সুলতানাদের প্রথম ম্যাচে প্রতিপক্ষ পাকিস্তান। ম্যাচের আগে দিন দলের প্রস্তুতি, শক্তি-দুর্বলতা ও লক্ষ্য জানিয়েছেন লাল সবুজ দলের অধিনায়ক।
দ্বিতীয়বারের মতো বিশ্বকাপে কোয়ালিফায়ার করেছে বাংলাদেশের নারীরা। শুরুতেই বাধা অপেক্ষাকৃত শক্তিশালী পাকিস্তান। তবে দলটির সঙ্গে সম্প্রতি অনেকগুলো ম্যাচ খেলেছেন নিগাররা। কোয়ালিফায়ারেও পাকিস্তানের মুখোমুখি হয়েছিল তারা। ফলে ফাহিমা সানাদের আদোপ্রান্ত অজানা নয় নিগারদের।
বাংলাদেশ অধিনায়ক বলেন, ‘পাকিস্তানের বিপক্ষে আমরা অনেক ম্যাচ খেলেছি। কোয়ালিফায়ারেও খেলেছি, দ্বিপাক্ষিক সিরিজেও খেলেছি। ওদের সম্পর্কে আমাদের ভালো ধারণা আছে, আমাদের সম্পর্কেও ওদের আছে। তাই এটা একটা ভালো প্রতিযোগিতা হবে বলে মনে করি।’
প্রতিপক্ষ যেমনই হোক জয়ের লক্ষ্য নিয়েই নামবে বাংলাদেশ। সে বিশ্বাস পুষেন নিগার। তিনি মনে করেন, বাংলাদেশের ম্যাচ জেতার সামর্থ্য আছে। এ জন্য সবাই রাত-দিন পরিশ্রম করেছে।
নিগার বলেন, ‘দেখুন, আমরা মানসিকভাবে অনেক কাজ করেছি। কারণ আমরা জানি আমাদের দলে ম্যাচ জেতানোর মতো সামর্থ্য আছে। কিন্তু সেই বিশ্বাসটাই তৈরি করতে হতো। গত ১২ মাসে আমরা সেই বিশ্বাস তৈরিতে কাজ করেছি। আমরা ভালো খেলেছি, কিন্তু ম্যাচ জিততে পারিনি। কয়েকটা খুব কাছাকাছি ম্যাচ ছিল। এরপর আমরা ভেবেছি—কীভাবে খেললে জয় আসবে! কোয়ালিফায়ারের পর থেকেই আমরা মানসিক ও শারীরিকভাবে অনেক পরিশ্রম করেছি।’
দেশের নারী ক্রিকেটের সবচেয়ে বড়ো দুর্বলতা ব্যাটিং। এই সেক্টরে দীর্ঘসময় ধরে ভুগছে দল। আশু কোনো সমাধান আজও মেলেনি। এ নিয়ে অসংখ্যবার হাতের কাছের ম্যাচ হাতছাড়া হয়েছে।
নিগার বলছেন সে কথাই, ‘সত্যি বলতে, অনেকদিন ধরেই ব্যাটিং ছিল আমাদের দুর্বলতা। বোলিং সব সময় ভালো ছিল, ফিল্ডিং-ও উন্নত হয়েছে। কিন্তু ব্যাটিং ইউনিট হিসেবে আমরা পারফর্ম করতে পারিনি। সবাই বুঝেছে বিষয়টা। এরপর আমরা আলোচনা করেছি— আমরা তো পারি, তাহলে কেন পারছি না? কেন বড় স্কোর গড়তে পারছি না? এরপর আমরা কঠোর পরিশ্রম শুরু করি। নিজেদের সঙ্গে প্রতিজ্ঞা করি—এটাই সুযোগ। কোয়ালিফায়ারে যেভাবে কষ্ট করে উঠেছি, আবার সেটা চাই না। জয় চাইলে রান তুলতেই হবে।’
অধিনায়কের মতো দলের অলরাউন্ডার রাবেয়া খান বলেছেন একই কথা। দল যে প্রস্তুত সে কথা জানিয়ে রাখলেন তিনি। গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচের আগে রাবেয়া বলেছেন, ‘আমরা যেভাবে লাস্ট ম্যাচ উইন করতে পেরেছি। সবকিছু ভালোভাবে শেষ করতে পেরেছি। সবাই সবার রোলটা ভালোভাবে পালন করছে। বোলিং-ব্যাটিং ফিল্ডিং, সবকিছু সবদিক থেকে। এখানে আসার পর ওয়েদার, সবকিছুই ভালো ভাবে যাচ্ছে। বাংলাদেশের সাথে এখনকার ওয়েদার খুব বেশি পার্থক্য না। আমরা ভালোভাবে প্র্যাকটিস এবং পরিবেশের সাথে মানিয়ে নিয়েছি। আশা করি সবকিছু দিয়ে আগামীকালকে ম্যাচটা ইনজয় করতে পারবো ইনশাল্লাহ।’
বিডি প্রতিদিন/নাজিম