বৈশ্বিক মানব পাচারে বাংলাদেশের অবস্থান অপরিবর্তিত রয়েছে। সার্বিক বিবেচনায় দ্বিতীয় স্তরে (টায়ার-২) রয়েছে বাংলাদেশ। এ অবস্থান উত্তরণে দোষী পাচারকারীদের শাস্তি নিশ্চিতের ওপর জোর দিয়েছে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর। সোমবার মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের প্রকাশিত মানব পাচার সূচকে এ তথ্য জানানো হয়।
প্রতিবেদনে বলা হয়, বিচারের ক্ষেত্রে সরকার সামগ্রিক আইন প্রয়োগের প্রচেষ্টা হ্রাস করেছে, ভুক্তভোগীদের সুরক্ষা প্রচেষ্টা বাড়িয়েছে এবং পাচাররোধে চেষ্টা অব্যাহত রেখেছে। বাংলাদেশ সরকার পাচার নির্মূলের জন্য ন্যূনতম মান সম্পূর্ণরূপে পূরণ করেনি। তবে প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। আগের তুলনায় কিছুটা বেশি প্রচেষ্টা দেখিয়েছে, তাই বাংলাদেশ টায়ার ২-এ থেকে গেছে। এতে আরও বলা হয়, সরকার পাচারকারীদের বিষয়ে কম তদন্ত ও বিচার এবং দোষী সাব্যস্ত করেছে। যৌনকাজে পাচার এবং জোরপূর্বক শিশুশ্রমসহ অভ্যন্তরীণ পাচারের অপরাধ মোকাবিলায় পর্যাপ্ত পদক্ষেপ নেয়নি। শ্রম পরিদর্শকদের অনানুষ্ঠানিক খাতগুলো ভালোভাবে পর্যবেক্ষণ এবং শ্রম আইন লঙ্ঘনের জন্য সংস্থাগুলোকে জবাবদিহি করার ক্ষমতার অভাব ছিল। রোহিঙ্গা শরণার্থী এবং ফেরত আসা অভিবাসী শ্রমিকদের জন্য সুরক্ষার অভাব দেখা গেছে। সরকার অভিবাসন ব্যয় নির্ধারণ অব্যাহত রেখেছিল। এতে অনেকে ঋণগ্রস্ত হয়েছিল এবং পাচারের প্রতি তাদের দুর্বলতা বাড়িয়ে তুলেছিল।
মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের প্রকাশিত মানব পাচার সূচকে ২০২০ সাল থেকে বাংলাদেশের অবস্থান একই স্তরে আছে। এ অবস্থান থেকে উত্তরণে কয়েকটি সুপারিশ করা হয়েছে। যাতে বলা হয়েছে, জড়িত কর্মকর্তাসহ পাচারের অপরাধের তদন্ত ও বিচারের প্রচেষ্টা বাড়াতে হবে। পাশাপাশি দোষী সাব্যস্ত পাচারকারীদের জন্য শাস্তি নিশ্চিত করা জরুরি। মানব পাচারের মামলার বিচারের জন্য ট্রাইব্যুনালের কর্মীদের সক্ষমতা জোরদার এবং ট্রাইব্যুনালের সংখ্যা প্রয়োজনীয় হারে বাড়ানো উচিত।