ফিলিস্তিনিদের গাজার উদ্দেশে ত্রাণ নিয়ে যাত্রা করা নৌবহরের অন্তত ১৩টি নৌযানকে আটক করেছে দখলদার ইসরায়েল। এসব নৌযান থেকে সুইডিশ অধিকারকর্মী গ্রেটা থুনবার্গসহ বেশ কয়েকজন অধিকারকর্মীকে ধরে নিয়ে যাচ্ছে ইসরায়েলি সেনারা। তবে, আটকের ভয় উপেক্ষা করে গাজার ত্রাণবহর চালিয়ে যাচ্ছে বাকি ৩০টির মতো নৌযান।
বৃহস্পতিবার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স।
ফ্লোটিলার আয়োজনকারীরা টেলিগ্রামে বলছেন, বহরের বাকি ৩০টি নৌকা এখনও গাজার দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। বৃহস্পতিবার ভোরে তারা উপত্যকাটির উপকূল থেকে ৪৬ নটিক্যাল মাইল দূরে অবস্থান করছে।
যুদ্ধবিধ্বস্ত ফিলিস্তিনের গাজার ওপর ইসরায়েলের চাপিয়ে দেওয়া ‘অবৈধ’ অবরোধ ভাঙার উদ্দেশে ৪৬টি নৌযানে ত্রাণসামগ্রী নিয়ে সম্প্রতি যাত্রা শুরু করে ফ্লোটিলার এই নৌবহর। তাদের উদ্দেশ্য হলো ক্ষুধায় জর্জরিত গাজার অভুক্ত মানুষের কাছে খাবার পৌঁছে দেওয়া। কিন্তু এই ত্রাণবহরকে থামাতে সর্বোচ্চ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে ইসরায়েল। হামাসের স্বার্থ রক্ষায় এই ত্রাণবহর গাজার উদ্দেশে যাত্রা করছে বলে অভিযোগ তুলেছে তারা। তবে, ত্রাণবহরের সঙ্গে হামাসের কোনো সংশ্লিষ্টতা প্রমাণ করতে পারেনি ইসরায়েল।
এই ত্রাণবহরের নৌযানগুলো গাজা উপকূল থেকে ৭০ নটিক্যাল মাইল দূরে পৌঁছালে অধিকারকর্মীদের আটক করা শুরু করে ইসরায়েলি বাহিনী। আটকদের মধ্যে রয়েছেন সুইডিশ অধিকারকর্মী গ্রেটা থুনবার্গের মতো পরিচিত মুখ। এখন পর্যন্ত ইসরায়েলি নৌবাহিনী ১৩টি জাহাজ থামিয়েছে এবং সেগুলোতে থাকা অধিকারকর্মীদের একটি ইসরায়েলি বন্দরে নিয়ে গেছে।
এর আগেও গত জুন ও জুলাইয়ে গাজাগামী দুটি ত্রাণবাহী নৌযান আন্তর্জাতিক জলসীমায় আটক করে ইসরায়েল। যার একটিতে গ্রেটা থুনবার্গ ছিলেন। তখনও আন্তর্জাতিক মহলের সমালোচনার মুখে পড়েছিল ইসরায়েল।
গাজায় ইসরায়েলি অবরোধ ও হামলায় এখন পর্যন্ত নিহত হয়েছেন প্রায় ৬৬ হাজার ফিলিস্তিনি। অঞ্চলটিতে তীব্র খাদ্য সংকট ও মানবিক বিপর্যয় চলছে।
সূত্র : রয়টার্স
বিডি প্রতিদিন/কেএ