টানা চার দিনের ছুটিতে অসংখ্য মানুষ ছুটে এসেছে সমুদ্রসৈকত কক্সবাজারে। শারদীয় দুর্গোৎসব ঘিরে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসা ভ্রমণপিপাসুদের আগমনে জমজমাট হয়ে উঠেছে হোটেল-মোটেল থেকে শুরু করে খাবার হোটেল, রেস্তোরাঁ, সিএনজি-রিকশা, হস্তশিল্পের দোকানসহ পর্যটন ব্যবসা। সমুদ্রের নোনাজলে অবগাহন কিংবা পাহাড়-প্রকৃতির অপরূপ সৌন্দর্য উপভোগে ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন পর্যটকরা। দুপুরের পর থেকে নিম্নচাপের প্রভাবে থেমে থেমে বৃষ্টিপাতে পর্যটকদের ভ্রমণানন্দে কিছুটা বাদ সাধে। তবে অনেকেই বৃষ্টিতে ভিজে তাদের আনন্দকে বাড়িয়ে নিয়েছেন।
শহরের কলাতলী, লাবণী, সুগন্ধা ও দরিয়ানগর ছাড়াও হিমছড়ি, উখিয়ার ইনানী ও টেকনাফে পর্যটকের ভিড় চোখে পড়ে। হোটেল-মোটেলের রুম পরিপূর্ণ হয়ে গেছে, অনেক পর্যটক আগে থেকে বুকিং না করায় বিপাকে পড়েছেন। পর্যটন ব্যবসায়ীরা বলছেন, এই সময়ে অর্থনৈতিকভাবে তারা বেশ স্বস্তি পেলেও অব্যবস্থাপনা, যানজট ও নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের দাম বেড়ে যাওয়ায় অনেকের জন্য ভোগান্তির কারণ হয়েছে। পর্যটকের নিরাপত্তায় জেলা প্রশাসন, পুলিশ, র্যাব, ট্যুরিস্ট পুলিশ ও লাইফগার্ড দল বিশেষ টহল দিচ্ছে। শিশু হারানো ঠেকাতে চালু হয়েছে হেল্প ডেস্কও। যানজট নিয়ন্ত্রণে নানা পদক্ষেপ নেওয়া হলেও শহরের ভিতরে কিছু সমস্যার মুখে পড়তে হচ্ছে। ঢাকা-কক্সবাজার রুটে বাড়তি ফ্লাইট চালু হয়েছে, মঙ্গলবার থেকে রেলও দিয়েছে বিশেষ ট্রেন। বাসেও অতিরিক্ত ট্রিপ থাকলেও মহাসড়কের দীর্ঘ যানজট ভ্রমণকে কিছুটা বিঘ্নিত করেছে। এদিকে ১২০ কিলোমিটার দীর্ঘ মেরিন ড্রাইভ পর্যটকদের বাড়তি আনন্দ দিচ্ছে। তবে সেন্ট মার্টিনে ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা থাকায় অনেকেই হতাশ হয়েছেন। বাংলাদেশ পর্যটন করপোরেশনের হিসাব অনুযায়ী, বছরে কক্সবাজারে প্রায় ৩০-৪০ লাখ পর্যটক ভ্রমণ করেন, যা দেশের অর্থনীতিতে উল্লেখযোগ্য অবদান রাখে।