টি-টোয়েন্টিতে দারুণ ছন্দ নিয়েই এশিয়া কাপ অভিযানে নামছে বাংলাদেশ। হংকংয়ের বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে বৃহস্পতিবার মাঠে নামবে টাইগাররা। আফগানিস্তানের বিপক্ষে বড় হার দিয়ে টুর্নামেন্ট শুরু করা হংকং এশিয়া কাপে কখনো জয়ের স্বাদ পায়নি।
এমন প্রতিপক্ষের বিপক্ষে তাই সহজ জয়ই পাওয়ার কথা বাংলাদেশের। যে বাছাইপর্ব পেরিয়ে হংকং এসেছে, সেখানেও তারা হয়েছে তৃতীয়। অন্তত কাগজে-কলমে টুর্নামেন্টের সবচেয়ে দুর্বল দলের বিপক্ষে মাঠে নামছে বাংলাদেশ।
হংকং ম্যাচের আগেও কি চাপ অনুভব করছেন? বুধবার সংবাদ সম্মেলন থেকে বেরিয়ে যাওয়ার সময় এক সাংবাদিক লিটন দাসকে এমন প্রশ্ন ছুড়ে দেন। উত্তরে লিটন দাস বলেন, ‘আপনি প্রশ্নটা যেকোনো অধিনায়ককে করলেই বলবে ক্রিকেট অনিশ্চয়তার খেলা। প্রতিটি ম্যাচেই (সামর্থ্যের) সর্বোচ্চটা দিয়ে খেলতে হবে। কোনো প্রতিপক্ষই শক্তিশালী বা দুর্বল নয়, নির্দিষ্ট দিনে যে কেউ যে কাউকে হারিয়ে দিতে পারে।’
হংকংয়ের বিপক্ষে বাংলাদেশের অতীতটা অবশ্য হতাশার। ২০১৪ সালের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে চট্টগ্রামে তারা হেরে গিয়েছিল হংকংয়ের কাছে। তাদের বিপক্ষে সেটিই টি-টোয়েন্টিতে বাংলাদেশের একমাত্র ম্যাচ। হংকংয়ের দুজন ক্রিকেটার এবার থাকলেও ওই দলের কেউই এখন নেই বাংলাদেশের।
তবু সেই প্রসঙ্গটা অবধারিতভাবেই এল আজ লিটনের সংবাদ সম্মেলনে। ওই হারটা কি আছে বাংলাদেশের খেলোয়াড়দের মাথায়ও?
লিটন বললেন ইতিহাস নিয়ে বেশি ভেবে চাপ নেওয়ার কিছু নেই, ‘এই মুহূর্তে নেতিবাচক কিছু নিয়ে ভাবার মতো আমাদের অবস্থা নেই। সাম্প্রতিক অতীতে আমরা অনেক ভালো ক্রিকেট খেলেছি। খেলতে নামব ম্যাচ জেতার জন্য। এই ভাবনা কখনো মাথায় আসবে না কার সঙ্গে খেলছি বা প্রতিপক্ষ কেমন। শতভাগ দিয়েই যেকোনো দলের সঙ্গে খেলতে হবে।’
হংকংয়ের বিপক্ষে জয়ই শুধু যথেষ্ট নয়। বাংলাদেশকে চোখ রাখতে হবে রান রেটের দিকেও। আফগানিস্তান ও শ্রীলঙ্কাকে টপকে যেতে হলে যেটির বিকল্পও নেই। মঙ্গলবার হংকংয়ের বিপক্ষে ৯৪ রানের জয়ে যে কাজটা করে রেখেছে আফগানিস্তান।
লিটন বলেছেন তাদের প্রাথমিক লক্ষ্য ম্যাচ জেতা, ‘বড় ব্যবধানে জিততে পারলে তো খুবই ভালো। যেটা আফগানিস্তান করেছে, তাদের জন্য প্লাস পয়েন্ট। তবে যেকোনো দলই এক দিন খারাপ ক্রিকেট খেলতে পারে। তারা যদি ভালো ক্রিকেট খেলে ফেলে, সে ক্ষেত্রে তখন আমাদের বড় ব্যবধানে জেতাটাও কষ্টকর হয়ে যাবে। আমাদের মূল লক্ষ্য ম্যাচ জেতা।’
বিডি প্রতিদিন/নাজিম