এশিয়া কাপের আগে নেদারল্যান্ডেসের বিপক্ষে সিলেটে টি-টোয়েন্টি সিরিজ দলের জন্য বাড়তি সুবিধা হবে বলে মনে করছেন টাইগার অধিনায়ক লিটন কুমার দাস।
বৃহস্পতিবার বিকেলে স্টেডিয়ামে অনুশীলন পূর্ববর্তী সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন লিটন দাস। এই সময় লিটন সিরিজে নিজেদের পরিকল্পনা ও প্রস্তুতি নিয়ে কথা বলেন।
তিনি বলেন, কন্ডিশনের দিক থেকে আবুধাবি আর সিলেটের উইকেট অনেকটাই মিল রয়েছে। আবুধাবির উইকেটের মতো সিলেটের মাঠও অনেকটা ব্যাটিং সহায়ক। তাই এখানে খেলা আমাদের জন্য দারুণ প্রস্তুতি হবে।
লিটন দাস বলেন, ব্যাটার-বোলারদের জন্য এটি আদর্শ উইকেট। এখানকার (সিলেট) মতো কন্ডিশন আবুধাবিতেও পাওয়ার সম্ভাবনা আছে। দলের খেলোয়াড়রা জানে এখানকার কন্ডিশন কেমন হতে পারে। কন্ডিশন কাজে লাগিয়ে ম্যাচের ফলাফল বের করার চেষ্টা করবো আমরা। ২০০-২৫০ রান করা অভ্যাসের বিষয়। না পারলেও ওই ধারাবাহিকতায় পৌঁছানোর চেষ্টা করবো।
প্রতিপক্ষ হিসেবে নেদারল্যান্ডসকে ছোট করে দেখতে চান না টি-টোয়েন্টি অধিনায়ক লিটন। ডাচরা ভালো উইকেটে ক্রিকেটে খেলে অভ্যস্ত বলে মন্তব্য করেন তিনি।
তিনি বলেন, আমাদের প্রথম লক্ষ্য থাকবে জয়, সঙ্গে চেষ্টা করবো এশিয়া কাপের আগে নতুনদের পরীক্ষা করে নেওয়ার। এশিয়া কাপের আগে কিছু খেলোয়াড়কে পরীক্ষা করতে চাই। একই সঙ্গে জয়টাও জরুরি।
সিলেটে ট্রেনিং ক্যাম্পের আগে ঢাকায় ফিটনেস ট্রেনিং ক্যাম্প করেছেন বাংলাদেশের ক্রিকেটাররা। জুলিয়ান উডের অধীনে করেছেন পাওয়ার হিটিং ক্লাস।
লিটন বলেন, ‘আজকের দিনের ক্রিকেটে ফিটনেস খুবই গুরুত্বপূর্ণ। ঢাকায় ফিটনেস ট্রেনিংটা কাজে লাগবে। পাওয়ার হিটিং ক্লাসে নতুনত্ব ছিল। কিন্তু কোন কিছু এক-দুই দিনে হয় না। সেজন্য সময় দিতে হবে। যে যার প্যাটার্নে ক্রিকেট খেলে। চেষ্টা করছে এর মধ্যে ভিন্ন কিছু করার।’
টাইগার অধিনায়ক মনে করেন আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ছোট বা বড় দল বলে কিছু নেই। প্রতিটি ম্যাচই সমান চ্যালেঞ্জিং। তিনি বলেন, যে কোনো আন্তর্জাতিক ম্যাচই চ্যালেঞ্জিং। নেদারল্যান্ডসও ভালো দল। যদিও তারা এ ধরনের কন্ডিশনে খুব একটা খেলে না, তারা ভালো উইকেটে খেলতে অভ্যস্ত। তাই দু’দলের জন্যই এটি হবে বড় পরীক্ষা।
আগামী ৩০ আগস্ট থেকে শুরু হবে বাংলাদেশ ও নেদারল্যান্ডস এর মধ্যকার টি-টোয়েন্টি সিরিজ। ১ ও ৩ সেপ্টেম্বর বাকি দুই ম্যাচ অনুষ্ঠিত হবে।
টাইগারদের বিকেল ৬টায় আউটার মাঠে প্র্যাকটিসে নামার কথা থাকলেও বৃষ্টির কারণে তা সম্ভব হয়নি।
বিডি-প্রতিদিন/বাজিত