অস্ত্রোপচার না করিয়ে কেবল পুনর্বাসন প্রক্রিয়ার মাধ্যমে সাময়িকভাবে সেরে ওঠা সম্ভব। তবে ঝুঁকি থেকে যায় চোট পুনরায় ফিরে আসার। ক্রিস ওকস ভালো করেই জানেন সেটি। তবে ঐতিহ্যবাহী অ্যাশেজ সিরিজে যে খেলতে মরিয়া তিনি।
তাই অস্ট্রেলিয়ার বিমানে চড়তে ঝুঁকির পথ বেছে নিতেও প্রস্তুত ইংল্যান্ডের অভিজ্ঞ পেস বোলিং অলরাউন্ডার। ভারতের বিপক্ষে টেস্ট সিরিজের শেষ ম্যাচে ওভালে প্রথম দিন ফিল্ডিংয়ের সময় বাঁ কাঁধে চোট পান ওকস। প্রচণ্ড ব্যথায় সোয়েটারকে স্লিংয়ের মতো বানিয়ে হাত ঝুলিয়ে মাঠ ছাড়েন তিনি। এরপর বোলিং তো দূরের কথা, ইংল্যান্ডের প্রথম ইনিংসে ব্যাটিংয়েও নামেননি।
ম্যাচ থেকে ছিটকে পড়া ওকস পরে দলের জরুরি প্রয়োজনে ভাঙা কাঁধ নিয়েই দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাটিংয়ে নেমে যান। যদিও তাকে কোনো ডেলিভারির সম্মুখীন হতে হয়নি। মোহাম্মদ সিরাজের বলে শেষ ব্যাটসম্যান হিসেবে গাস অ্যাটকিনসন বোল্ড হয়ে গেলে ৬ রানে হেরে যায় ইংল্যান্ড। রোমাঞ্চ-উত্তেজনায় ঠাসা অ্যান্ডারসন-টেন্ডুলকার ট্রফি শেষ হয় ২-২ সমতায়।
৩৬ বছর বয়সী ওকস এখন তার কাঁধের স্ক্যান রিপোর্টের অপেক্ষায় আছেন। বিবিসি স্পোর্টকে তিনি বলেন, সুযোগ থাকলে কেবল পুনর্বাসনের মাধ্যমে সেরে উঠে অস্ট্রেলিয়া সফরে যেতে চান।
ওকস জানান, “চোট কতটা গুরুতর সেটা জানার অপেক্ষায় আছি। তবে আমার মনে হয়, বিকল্প হলো অস্ত্রোপচার করা কিংবা পুনর্বাসনের পথ বেছে নেওয়া এবং যতটা সম্ভব সেরে ওঠার চেষ্টা করা। আমার মনে হয়, স্বাভাবিকভাবেই এর (কেবল পুনর্বাসন) ফলে চোটের পুনরাবৃত্তি হওয়ার সম্ভাবনা থাকবে, তবে আমি মনে করি এই ঝুঁকি নেওয়া যেতে পারে।”
তিনি আরও জানান, “ফিজিও ও বিশেষজ্ঞদের কাছ থেকে আমি যেটা শুনেছি, অস্ত্রোপচারের পর পুনর্বাসন তিন থেকে চার মাসের মতো চলতে পারে। যা স্পষ্টতই অ্যাশেজ ও অস্ট্রেলিয়া সফরের কাছাকাছি সময়ে চলে যাবে… আর পুনর্বাসনের মাধ্যমে সম্ভবত ৮ সপ্তাহের মধ্যে চোট কাটিয়ে ওঠা যায়। তাই এটা একটা বিকল্প হতে পারে, তবে এখনও পুরো রিপোর্ট পাওয়ার অপেক্ষায় আছি।”
প্রসঙ্গত, পার্থে আগামী ২১ নভেম্বর শুরু এবারের অ্যাশেজ সিরিজ।
বিডি-প্রতিদিন/আব্দুল্লাহ