এশিয়ান ক্রিকেট কাউন্সিলের (এসিসি) বার্ষিক সাধারণ সভাকে কেন্দ্র করে উদ্ভূত নানা জটিলতার মধ্যেই ঢাকায় পৌঁছেছেন এসিসি চেয়ারম্যান মহসিন নাকভি। আজ বুধবার সকালে বাংলাদেশে পা রাখেন তিনি।
হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে এসিসি প্রধানকে ফুল দিয়ে স্বাগত জানান বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) সভাপতি আমিনুল ইসলাম বুলবুল। এ সময় বিসিবির প্রধান নির্বাহী নিজামউদ্দিন চৌধুরীও উপস্থিত ছিলেন।
বাংলাদেশ আয়োজক হওয়ায় আগেই এই সভায় উপস্থিত না হওয়ার কথা জানিয়ে রেখেছে ভারত, শ্রীলঙ্কা এবং আফগানিস্তান। সহযোগী দেশগুলোর মধ্যে ওমানও যোগ দিয়েছে বর্জনের এই তালিকায়। তবে সবকিছু জেনেশুনেও বাংলাদেশেই এই সভা করতে বদ্ধপরিকর এসিসি চেয়ারম্যান নাকভি।
এসিসির এই সভা নিয়ে অনিশ্চয়তার মূলে ভেন্যু বাংলাদেশের হওয়া। তবে সেই বাংলাদেশই এই বিষয়ে মুখ খুলতে চাচ্ছে না। নিজেদের শুধুই আয়োজক বলে এই বিষয়ে কৌশলী অবস্থান নিয়েছে বিসিবি। ভারতসহ বাকি দেশগুলো না এলে পরিস্থিতি কী হবে, সেটা জেনেই প্রস্তুতি সম্পন্ন করছে বাংলাদেশ ক্রিকেটের নিয়ন্ত্রক সংস্থা।
মঙ্গলবার (২২ জুলাই) বাংলাদেশ-পাকিস্তান সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচ শেষে গণমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে বিসিবি সভাপতি বুলবুল এ প্রসঙ্গে বলেন, 'এসিসি একটা সংস্থা, এশিয়ার পাঁচটা পূর্ণ সদস্য এবং ২৫টা সহযোগী দেশ নিয়ে এটা কাজ করে। এসিসি আমাদের কাছে প্রস্তাব করেছিল, এজিএমটা (বার্ষিক সাধারণ সভা) আয়োজন করতে চাই কি না। আমরা সেটাতে রাজি হয়েছি। এটা এসিসির প্রোগ্রাম। আমরা শুধু লজিস্টিক সাহায্য করব।'
এসিসির সাধারণ সভার বাইরে এসিসি চেয়ারম্যান ও পিসিবি সভাপতি নাকভির সঙ্গে বিসিবি সভাপতি আলাদা করে একটা সভাও করবেন। সেখানকার আলোচ্য বিষয় নিয়ে বুলবুল বলেন, 'পাকিস্তানের (পিসিবি) সভাপতি আসছেন (আগামীকাল)। উনি এখন এসিসির সভাপতি। যেহেতু এটা তার প্রোগ্রাম, তবে তার ফাঁকে ফাঁকে আমাদের দ্বিপাক্ষিক সিরিজ বাড়ানো যায় কি না এবং ক্রিকেট নিয়ে আলোচনা (করব)।'
এদিকে, এসিসি ও পিসিবির চেয়ারম্যান নাকভির সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন অন্তর্বর্তী সরকারের যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভুঁইয়া। আজ বিকাল ৪টায় সচিবালয়ে এই সভা অনুষ্ঠিত হবে। এরপর রাতে নৈশভোজে অংশ নেবেন তিনি। সেখানে এসিসি ও বিসিবির ২৫০জনের বেশি উপস্থিত থাকবেন।
বিডি প্রতিদিন/মুসা