ভুটানকে ৪-১ গোলে উড়িয়ে সাফ অনুর্ধ্ব-২০ নারী চ্যাম্পিয়নশিপে হ্যাটট্রিক জয় পেয়েছে বাংলাদেশ। নারী দলের হ্যাটট্রিক জয়ের দিনে হ্যাটট্রিক করেছেন শান্তি। অন্য গোলটি করেছেন বদলি নামা মুনকি। শান্তির হ্যাটট্রিকটি এবারের আসরের তৃতীয়। আর বাংলাদেশের দ্বিতীয়। বাংলাদেশের হয়ে প্রথম হ্যাটট্রিক করেন শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে মোসাম্মৎ সাগরিকা।
ঝির ঝির বৃষ্টিতে মঙ্গলবার (১৫ জুলাই) কিংস অ্যারেনায় খেলতে নেমে ম্যাচের দ্বিতীয় মিনিটেই এগিয়ে যাওয়ার সুযোগ পেয়েছিল বাংলাদেশ। তবে ভুটানের গোলরক্ষককে পেমা ইয়াংজম একা পেয়েও পরাস্ত করতে পারেননি তৃষ্ণা রানী।
নেপাল ম্যাচের জয়ের নায়ক গোল করতে না পারলেও শান্তি মার্ডি ঠিকই পেরেছেন। ডান প্রান্ত থেকে উমেলা মারমার পাস ধরে শুরুতে শট নেন তৃষ্ণা। তার শট ভুটানের গোলরক্ষক প্রতিহত করলে দ্বিতীয় সুযোগ পান শান্তি। শান্তির নেওয়া প্রথম শটও প্রতিপক্ষের এক ডিফেন্ডারের শরীরে বাধা প্রাপ্ত হয়েছিল। তবে ফিরতি সুযোগে বাঁ পায়ের শটে ঠিকই জাল খুঁজে নেন শান্তি।
১৯ মিনিটে গোল শোধ দেওয়ার সুযোগ পেয়েছিল ভুটান। বাঁ প্রান্তে যখন খেলদেন ওয়াংমো বল পেলেন তখন তার সামনে শুধুই বাংলাদেশের গোলরক্ষক মিলি আক্তার। ভুটানের ফরোয়ার্ড শটটা নিলেনও বটে কিন্তু তা গোলরক্ষকের সামনে গিয়ে আটকে যায়। বৃষ্টির পানিতে আটকে যাওয়ায় বল তালুবন্দি করতে কোনো সমস্যা হয়নি মিলির। পরে আর কোনো গোল না হলে বিরতিতে যায় দুই দল।
বৃষ্টির মাত্রা বেড়ে যাওয়ায় কিংস অ্যারেনার পরিবর্তে প্র্যাকটিস গ্রাউন্ডে দ্বিতীয়ার্ধের খেলা হয়। নতুন মাঠে খেলতে নেমে লিডটা বেশিক্ষণ ধরে রাখতে পারেনি বাংলাদেশ। ৫৩ মিনিটে ভুটানকে সমতায় ফেরান সানগে ওয়াংমো। বাংলাদেশের রক্ষণভাগের ভুলে শুরুতে শট নিয়েছিলেন কেলদেন। তার নেওয়া শট বাংলাদেশের এক ডিফেন্ডার গোলমুখ থেকে হেডে ক্লিয়ার করেন। তবে ফিরতি সুযোগে ওয়াংমো ঠিকই ভুটানকে সমতায় ফেরান।
গোল হজম করে বাংলাদেশ আবার এগিয়ে যেতে মরিয়া হয়ে ওঠে। সেই সুযোগটাও আসে ৬৭ মিনিটে পাওয়া কর্নারে। রুমা আক্তারে নেওয়া কর্নার থেকে বাংলাদেশকে দ্বিতীয়বার এগিয়ে দেন শান্তি। হ্যাটট্রিক পূর্ণ করেন ৭৯ মিনিটে।
শান্তির হ্যাটট্রিকের আগে একক নৈপুণ্যে অসাধারণ এক গোল করেন মুনকি। ৭৬ মিনিটে মাঝ মাঠে বল পেয়ে এক এক করে তিনজনকে কাটিয়ে বাঁ প্রান্ত থেকে ডান পায়ের দারুণ প্লেসিংয়ে ভুটানের গোলরক্ষককে পরাস্ত করেন বদলি নামা মুনকি।
বিডি-প্রতিদিন/আব্দুল্লাহ