নাজমুল হোসেন শান্তর সরে দাঁড়ানোর পর বাংলাদেশ টেস্ট দলের নেতৃত্বে পরিবর্তনের সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। আর এই প্রেক্ষাপটে নিজের নাম সামনে আনলেন অভিজ্ঞ বাঁহাতি স্পিনার তাইজুল ইসলাম। জানিয়েছেন, সুযোগ পেলে অধিনায়কত্ব নিতে তিনি পুরোপুরি প্রস্তুত।
সম্প্রতি ক্রিকেট ভিত্তিক ওয়েবসাইট ক্রিকবাজকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তাইজুল বলেন,'অভিজ্ঞতা তো আছে, তাই দায়িত্ব এলে না করার কিছু দেখি না। এটা লোভের কিছু নয়। অধিনায়কের একটা ভিশন থাকা দরকার, সে তার দলকে কোথায় দেখতে চায়। এরপর দুই বছরের মধ্যে সে লক্ষ্য পূরণে কাজ করতে হয়। দল ও ম্যানেজমেন্ট যদি এমন পরিকল্পনায় বিশ্বাস করে, তাহলে সে দিকেই এগোতে হয়।'
শান্তর ওয়ানডে অধিনায়কত্ব হারানোর পর টেস্ট নেতৃত্ব নিয়েও বোর্ডের সঙ্গে মতানৈক্য তৈরি হয়। যার ফলে শান্ত টেস্ট নেতৃত্ব থেকেও সরে দাঁড়ান। এরপর থেকেই প্রশ্ন উঠ কে হবেন বাংলাদেশের পরবর্তী টেস্ট অধিনায়ক?
অনেকের মতে, ওয়ানডেতে যেমন মেহেদী হাসান মিরাজ দায়িত্ব পেয়েছেন, টেস্টেও তাকেই বিবেচনা করা যেতে পারে। তবে বোর্ডের অভ্যন্তরীণ সূত্র বলছে, তারা প্রতিটি ফরম্যাটে আলাদা অধিনায়ক নিয়োগে আগ্রহী। এই প্রসঙ্গে তাইজুলের অভিজ্ঞতা ও ধারাবাহিক পারফরম্যান্স তাকে অন্যতম যোগ্য প্রার্থী হিসেবে সামনে নিয়ে এসেছে।
২০১৪ সালে টেস্ট অভিষেক হওয়ার পর থেকে এখন পর্যন্ত জাতীয় দলের নির্ভরযোগ্য স্পিনার হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেছেন তাইজুল। ২০২১ সালের শ্রীলঙ্কা সিরিজের পর তার বোলিংয়ে এসেছে দৃশ্যমান পরিবর্তন। আগের তুলনায় অনেক বেশি নিয়ন্ত্রিত এবং ম্যাচের পরিস্থিতি বুঝে বোলিং করার সক্ষমতা তৈরি হয়েছে।
তাইজুল বলেন,'বয়স একটা বড় ফ্যাক্টর। এখন আমি বুঝি কোথায় বল ফেললে কী রেজাল্ট আসবে। দেশের বাইরেও এখন খেলার অভিজ্ঞতা হচ্ছে, ফলে উইকেট বুঝে বল করার সক্ষমতা বেড়েছে। আলহামদুলিল্লাহ, সময় পেয়েছি এবং দিনে দিনে উন্নতি করেছি।'
তিনি আরও বলেন,'পেস ভ্যারিয়েশন খুব গুরুত্বপূর্ণ। এক বল ধীরে, এক বল জোরে করলে ব্যাটার বিভ্রান্ত হয়। একই গতির দুই বল একটা ঘুরবে, একটা সোজা যাবে এটাই ব্যাটারদের জন্য সবচেয়ে কঠিন। বড় বড় স্পিনাররাও এভাবেই কাজ করেন।'
বিডি প্রতিদিন/মুসা