রিভার প্লেট আর্জেন্টিনার সবচেয়ে সফল দল (৩৮ বারের লিগজয়ী)। এ ক্লাবের ম্যাচ হলেই স্টেডিয়ামে দর্শকরা হুমড়ি খেয়ে পড়ে। ঘরের মাঠে দর্শক উপস্থিতিতে বিশ্বের সেরা তারা। বুয়েন্স আয়ার্সের মনুমেন্টাল স্টেডিয়ামে কিছুদিন আগেও খেলে এসেছে রিভার প্লেট। দর্শক ছিল ৬৫ হাজারেরও বেশি। সেই দলের খেলাতেই দেখা গেল দর্শক খরা! ফিফা ক্লাব বিশ্বকাপের বেশিরভাগ ম্যাচে একই দৃশ্য। দর্শক টানতে পারছে না এই টুর্নামেন্ট। এমনকি টিকিটের দাম অনেক কমিয়েও কাজ হচ্ছে না।
গত মঙ্গলবার গভীর রাতে ওয়াশিংটনের সিয়াটল শহরে অবস্থিত লুমেন ফিল্ড স্টেডিয়ামে জাপানি ক্লাব উরাওয়া রেড ডায়ামন্ডের মুখোমুখি হয় রিভার প্লেট। সেই ম্যাচে জাপানি ক্লাবকে পাত্তাই দেয়নি আর্জেন্টাইন দলটি। ফাকুন্দো কলিডিও, সেবাস্তিয়ান এবং ম্যাক্সিমিলিয়ানোর গোলে ৩-১ গোলের জয় পায় রিভার প্লেট। উরাওয়ার পক্ষে একটি গোল করেন ইউসুকে মাতসু। রিভার প্লেটের এমন ম্যাচে অসংখ্য দর্শক স্টেডিয়ামে উপচে পড়ত লাতিন আমেরিকায়। কিন্তু ওয়াশিংটনের লুমেন ফিল্ডে দেখা গেল কেবল ১১ হাজার ৯৭৪ দর্শক! এ মাঠের দর্শক ধারণ ক্ষমতা ৬৮ হাজার ৭৪০ জন। রিভার প্লেটের ম্যাচ মাত্র দর্শক ধারণ ক্ষমতার ছয় ভাগের এক ভাগ!
কেবল রিভার প্লেটের ম্যাচেই নয়, দর্শক ছিল না আরও অনেক ম্যাচেই। ইন্টার মিলানের ম্যাচ ছিল গত মঙ্গলবার। লস অ্যাঞ্জেলসের রোজ বৌল স্টেডিয়ামে দর্শক ধারণ ক্ষমতার অর্ধেকও পূরণ হয়নি। মেক্সিকান ক্লাব মন্টারির সঙ্গে ১-১ গোলে ড্র করেছে ইন্টার মিলান। মাত্র ৪০ হাজার ৩১১ জন দর্শক এ ম্যাচের সাক্ষী হয়েছেন। অথচ এ মাঠের দর্শক ধারণ ক্ষমতা ৮৯ হাজার ৭০২ জন।
ফিফা ক্লাব বিশ্বকাপ নিয়ে আমেরিকানদের আগ্রহ খুব একটা নেই। তবে আগামী বছরের বিশ্বকাপ নিয়ে বেশ তোড়জোড় চলছে। ফিফা মূলত সেই আসরেরই প্রস্তুতিটা সেরে নিচ্ছে এখানে। তবে বিশ্ব থেকে সেরা ক্লাবগুলোকে এনে বিশ্বকাপ আয়োজন করে দর্শকদের আকর্ষণ করার চেষ্টা করেছিল ফুটবলের সর্বোচ্চ নিয়ন্ত্রক সংস্থা। আশা করেছিল ক্লাব বিশ্বকাপের দর্শকদের ঢল নামবে। অল্প কিছু ম্যাচ বাদ দিলে বাকিগুলোতে ফিফার সেই আশা পূরণ হয়নি। অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদ-পিএসজি ম্যাচে দর্শকপূর্ণ ছিল স্টেডিয়াম। গত রাতে মাঠে নেমেছে রিয়াল মাদ্রিদ, ম্যানসিটির মতো দল। সেসব ম্যাচেও নিশ্চয়ই দর্শক উপস্থিতি থাকবে।