হামজা দেওয়ান চৌধুরী বাংলাদেশ জাতীয় দলে খেলার পর ভারতীয় ফুটবল কর্মকর্তাদের চোখ কপালে উঠে যায়। এরপর কানাডা জাতীয় দলে খেলা সামিত সোম, ইতালি ঘরোয়া আসরে খেলা ফাহামিদুল ইসলামেরও লাল-সবুজের জার্সিতে অভিষেক হয়েছে। ইংল্যান্ডের সান্ডারল্যান্ডের কিউবা মিচেলকেও বাংলাদেশের পরবর্তী ম্যাচে দেখা যাবে। এসব দেখে ভারতীয় ফুটবল কর্মকর্তারা এতটাই আতঙ্কিত যে, তাদের ধারণা এভাবে মানসম্পন্ন খেলোয়াড় খেলতে থাকলে বাংলাদেশ বিশ্বকাপে খেললেও অবাক হওয়ার কিছু থাকবে না। উজবেকিস্তান ও জর্ডানের মতো দেশ ২০২৬ সালের বিশ্বকাপ নিশ্চিত করার পর এমনিতে সমালোচনায় ভাসছেন ভারতীয় ফুটবলার ও কর্মকর্তারা। তারপর আবার এশিয়া কাপ বাছাইপর্বে র্যাঙ্কিংয়ে বেশ পিছিয়ে থাকা হংকংয়ের কাছে হারার পর ক্ষোভে উত্তাল ভারতীয় ফুটবল। অল ইন্ডিয়া ফুটবল ফেডারেশনের কর্মকর্তাদের দুর্নীতিবাজ আখ্যায়িত করে পদত্যাগ চাওয়া হচ্ছে।
বাংলাদেশে হামজাদের মতো মানসম্পন্ন প্রবাসী দেখে ভারতীয় কর্মকর্তারা এখন সেই পথে হাঁটতে চাচ্ছেন। ভারতীয় ফুটবল ফেডারেশনের সভাপতি কল্যাণ চৌবে হিন্দুস্থান টাইমসকে বলেন, বাংলাদেশ যে পথ বেছে নিয়েছে তা ভারতে সম্ভব হচ্ছে না। কেননা ভারতে কোনো দ্বৈত নাগরিকের খেলানো যায় না। ভারতীয় প্রচুর বংশোদ্ভূত ফুটবলার আছেন, যারা বিদেশের মাটিতে নিজেদের ভালোভাবে তুলে ধরেন। তিনি এটাও বলেন, ‘আমরা ২০ ভারতীয় বংশোদ্ভূত খেলোয়াড়ের পারফরম্যান্স দেখেছি, যারা খেললে ফুটবল মানে বড় ধরনের পরিবর্তন আসবে। এ নিয়ে কেন্দ্রীয় ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে আলোচনা হয়েছে। খুশির খবর তারা নিয়ম পরিবর্তনের সবুজ সংকেত দিয়েছে। আমরা এখন কাজ শুরু করব। আশা করি ছয় মাসের মধ্যে ভারতীয় জাতীয় দলে প্রবাসীদের আগমন ঘটবে।’