আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের এক বছর হতে চলল। ক্রীড়ামোদীদের আশা ছিল অনিয়ম দূর করে ক্রীড়াঙ্গনে নতুন প্রাণের সঞ্চার হবে। যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টার দায়িত্ব নিয়ে আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়ার শুরুতে কিছু উদ্যোগ ছিল খুবই প্রশংসনীয়। অনিয়মে বন্দি থাকা ফেডারেশনগুলোর নির্বাচিত কমিটি ভেঙে দেওয়াটা ছিল সাহসী পদক্ষেপ।
সার্চ কমিটি গঠন করে যোগ্য সংগঠকদের নিয়ে অ্যাডহক কমিটি হবে এটাই ছিল প্রত্যাশা। নতুনভাবে অনেক ফেডারেশন গঠনও হয়েছে। অধিকাংশের মেয়াদ ছয় মাস পার হলেও কাজের কোনো অগ্রগতি লক্ষ করা যাচ্ছে না। লুটপাট বন্ধ, তবে নিষ্ক্রিয়তা কাটছে না।
সচল বলতে বাফুফে ও বিসিবির কর্মকাণ্ডে সীমাবদ্ধ। কিছু ফেডারেশন কিছু আসরের আয়োজন করলেও অন্যদের খবর নেই। দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তারা বলেছেন আগের সরকার আমলে কার্যক্রম শুধু বৈঠকে সীমাবদ্ধ থাকলেও এখন তা নেই। যে যার মতো কর্মসূচি দিচ্ছে। বাস্তবে তা কি লক্ষ করা যাচ্ছে? অ্যাডহক কমিটি যে লক্ষ্যে গঠিত হয়েছে তার কি দেখা মিলছে? অধিকাংশ ফেডারেশনে করুণ হাল। কেন সরব হচ্ছে না ক্রীড়াঙ্গন। এর পেছনে রহস্যটা কী? তাহলে কি বড় বড় চেয়ারে বসেই দায়িত্ব শেষ? কবে সরব হবে ক্রীড়াঙ্গন। আর অ্যাডহক কমিটির দায়িত্ব কিন্তু সব গুছিয়ে নির্বাচনের ব্যবস্থা। তা কি ভুলে গেছেন কর্মকর্তারা? প্রাণহীন ক্রীড়াঙ্গন কারোর কাম্য নয়, এমনটিই মন্তব্য করেছেন অভিজ্ঞ সংগঠকরা।