হামজা ঝড়ে আরেক প্রবাসী ফুটবলার ফাহমেদুল ইসলামের নাম আড়ালেই পড়ে যায়। এটাই স্বাভাবিক। হামজা দেওয়ান চৌধুরীর সঙ্গে তার তো তুলনা চলে না। যাক ফাহমেদুলের স্বপ্ন ছিল দেশের জার্সি পরে মাঠে নামবেন। যোগ্যতার পরীক্ষা দিতে সৌদি আরবে জাতীয় দলের ক্যাম্পে যোগ দেন ইতালি চতুর্থ স্তরের লিগে খেলা এ ফুটবলার। বাংলাদেশ সেখানে একটি প্রীতি ম্যাচ খেলে। ফাহমেদুল অসাধারণ খেলেছেন। হ্যাটট্রিক করে সেরা খেলোয়াড়ের পুরস্কারও পান। এমন নৈপুণ্যের পর অনেকে নিশ্চিত ছিলেন চূড়ান্ত দলে নয় ভারতের বিপক্ষে সেরা একাদশে জায়গা করে নেবেন ফাহমেদুল। অথচ সবাইকে অবাক করে সৌদি থেকেই ইতালিতে ফিরে যেতে হলো তাকে।
গতকাল সকালে সৌদিতে প্রশিক্ষণ করা সব ফুটবলারই ঢাকায় ফিরেছেন। শুধু আসেননি ফাহমেদুল। বিষয়টি অবাক করার মতো। বিমানবন্দরে কোচ হাভিয়ের কাবরেরা বলেন, ‘ফাহমেদুল চূড়ান্ত দলে থাকছেন না। সন্দেহ নেই ও প্রতিভাবান খেলোয়াড়। তবে বয়স এখনো কম। সবার সঙ্গে মানিয়ে নিতে সময় লাগবে। এজন্য স্কোয়ার্ড থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে। ভবিষ্যতেও ওর দরজা খোলা থাকবে।’ দল গড়ার পূর্ণ স্বাধীনতা কোচের। কিন্তু কাবরেরা যা বলেছেন, তা কি তার মনের কথা। কেননা প্রীতি ম্যাচে ওর পারফরম্যান্স দেখে কোচ এতটা মুগ্ধ হন যে, ভারতের বিপক্ষে খেলানোর সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেছিলেন। তাহলে বাদ পড়ল কেন?
এখানে জোরেসোরে সিন্ডিকেটের কথা শোনা যাচ্ছে। স্থানীয় ফুটবলাররা মূলত প্রবাসীদের পছন্দ করেন না। শুরুতে জামাল ভূঁইয়া ভোগান্তির শিকার হয়েছিলেন। এবারে হামজার বিষয়ে আলাদা এখানে সিন্ডিকেট টিকবে না। শিকার হলো নাকি ফাহমেদুল। জাতীয় দলের সাবেক দুই ফুটবলার শেখ মো. আসলাম ও বিপ্লব ভট্টাচার্য কোনোভাবে মেনে নিতে পারছেন না ফাহমেদুলের বাদ পড়া। তাদের কথা রহস্য অবশ্যই উন্মোচন করা উচিত। তা না হলে প্রবাসীরা সামনে বাংলাদেশ দলে খেলতে আগ্রহ হারিয়ে ফেলবেন।