অ্যামাজনের প্রতিষ্ঠাতা জেফ বেজোসের মালিকানাধীন মহাকাশ প্রতিষ্ঠান ‘ব্লু অরিজিন’ মঙ্গল গ্রহের উদ্দেশে তাদের তৈরি নিউ গ্লেন রকেট সফলভাবে উৎক্ষেপণ করেছে। এ রকেটের মাধ্যমে নাসার দুটি মহাকাশযান পাঠানো হয়েছে।
সেই সাথে উৎক্ষেপণের পর রকেটের প্রথম ধাপের বুস্টারটি নির্দিষ্ট স্থানে নিরাপদে অবতরণ করাতে সক্ষম হয়েছেন তারা। বৃহস্পতিবার (১৪ নভেম্বর) এএফপির এক প্রতিবেদনে এই তথ্য নিশ্চিত করা হয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, উৎক্ষেপণের প্রধান লক্ষ্য ছিল নাসার যানের মাধ্যমে মঙ্গলের জলবায়ু ও ইতিহাস সম্বন্ধে তথ্য সংগ্রহ করা। সেই সাথে ভবিষ্যতে সেখানে মানুষের উপস্থিতি নিশ্চিত করার জন্য প্রস্তুতি নেওয়া। উৎক্ষেপণ বিলম্বিত হওয়ার কারণ ছিল পৃথিবী ও মহাকাশের খারাপ আবহাওয়া। তবে অবশেষে সফল উৎক্ষেপণ সম্পন্ন হয়।
গত জানুয়ারিতে রকেটের প্রথম উৎক্ষেপণে বুস্টার নির্ধারিত স্থানে ফিরে আসতে ব্যর্থ হয়েছিল। এবার ব্লু অরিজিন সেটি সফলভাবে পুনরুদ্ধার করতে পেরেছে। বুস্টারটি ভাসমান প্ল্যাটফর্মে নিখুঁতভাবে অবতরণের পর যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডার কেপ ক্যানাভেরাল উৎক্ষেপণকেন্দ্রে উপস্থিত সবাই উচ্ছ্বাসে ফেটে পড়েন। এর আগে কেবল ইলন মাস্কের স্পেসএক্সই এ ধরনের সফল অবতরণ করতে পেরেছিল।
ব্লু অরিজিনের সাফল্যে প্রতিষ্ঠানটিকে অভিনন্দন জানিয়েছেন ইলন মাস্কের মিত্র জ্যারেড আইজ্যাকম্যান। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প সম্প্রতি তাকে নাসার প্রধান হিসেবে পুনরায় মনোনয়ন দিয়েছেন। স্পেসএক্সের ইলন মাস্কসহ কয়েকজন কর্মকর্তা প্রতিদ্বন্দ্বী প্রতিষ্ঠানের এ অর্জনের প্রশংসা করেছেন।
নাসার হেলিওফিজিসিস্ট জোসেফ ওয়েস্টলেক জানান, মহাকাশযান দুটি প্রথমে একটি নিরাপদ পার্কিং কক্ষপথ খুঁজে বের করবে যাতে তারা পৃথিবীর মহাকাশ আবহাওয়ার পরিমাপ নিতে পারে। এরপর ২০২৬ সালের শরতে যখন মঙ্গল পৃথিবীর কাছাকাছি পৌঁছাবে, তখন মহাকাশযানগুলো গ্রহের মাধ্যাকর্ষণকে ব্যবহার করে জোর ধাক্কায় মঙ্গলের দিকে যাত্রা শুরু করবে।
আশা করা হচ্ছে, ২০২৭ সালে মহাকাশযান দুটি মঙ্গলে পৌঁছাবে।
বিডি প্রতিদিন/কামাল