♦ টমাস এডিসন ছিলেন খুবই হিসাবি মানুষ। সব কাজেই তিনি কিছু না কিছু প্রাপ্তির চিন্তা করতেন। তাঁর একটি গ্রীষ্মকালীন অবকাশ যাপনের বাড়ি ছিল, যেটাতে তিনি অদ্ভুত সব প্রযুক্তির খেলা দেখিয়েছিলেন। একদিন এক দর্শনার্থীকে তিনি বাড়িটি ঘুরিয়ে ঘুরিয়ে দেখাচ্ছিলেন। আধুনিক সব যন্ত্রপাতিতে ভরা বাড়ির এক জায়গায় দেখা গেল একটি পুরোনো আমলের ভারী দরজা। ওটা ঘুরিয়ে পাশের ঘরে যেতে হয়। ওটা দেখে দর্শনার্থী খুবই অবাক হয়ে জিজ্ঞেস করলেন, ‘সব কিছু এত আধুনিক হওয়া সত্ত্বেও এ দরজাটি এত পুরোনো আর ভারী কেন?’ এডিসন তখন হেসে জবাব দিলেন, ‘এটা রাখা হয়েছে দুটো কারণে। পুরোনো বলে সবাই এর প্রতি কৌতূহলী হয়ে ওঠে। তখন সে কষ্ট করে হলেও ভারী দরজাটি ঘোরায়। আর ওটা একবার ঘোরালে আমার বাড়ির ছাদের ট্যাংকিতে আট গ্যালনের মতো পানি ওঠে। এটি বানানোর পর থেকে ছাদে পানি ওঠানো নিয়ে আমাকে আর ভাবতে হয় না।’
♦ বিখ্যাত সংগীতজ্ঞ মোৎজার্টের সঙ্গে একবার দেখা করতে এলো এক তরুণ। বলল, ‘সম্মানিত মোৎজার্ট, আমি একটা সিম্ফনি সৃষ্টি করতে চাই। আমাকে কী করতে হবে, বলুন তো?’
মোৎজার্ট বললেন, ‘শুরুতে ছোট ছোট সুর সৃষ্টি করে অভিজ্ঞতা অর্জন কর। তারপর সিম্ফনি তৈরি কর।’
তরুণ বলল, ‘কিন্তু আপনি তো আমার চেয়ে অনেক ছোট বয়সেই সিম্ফনি তৈরি করেছেন!’
বিনয়ের সঙ্গে মোৎজার্ট বললেন, ‘আমি তো কারও কাছে উপদেশ নিতে যাইনি!’