মালয়েশিয়ার মানবসম্পদ মন্ত্রণালয় ঘোষণা করেছে, আগামী ১ আগস্ট ২০২৫ থেকে সর্বমোট ১,৭০০ রিঙ্গিত ন্যূনতম মজুরি দেশব্যাপী সব ধরনের নিয়োগকর্তার জন্য বাধ্যতামূলকভাবে কার্যকর হবে।
মঙ্গলবার (২২ জুলাই) এক সরকারি বিবৃতিতে জানানো হয়, কর্মীর সংখ্যা যাই হোক না কেন, নতুন এই মজুরি হার সকল নিয়োগকর্তাকে মানতে হবে। ২০২৫ সালের বাজেটে ঘোষিত এ ন্যূনতম মজুরি হার চলতি বছরের ১ ফেব্রুয়ারি থেকে ৫ বা ততোধিক কর্মচারী এবং পেশাদার খাতে নিযুক্ত প্রতিষ্ঠানগুলোর জন্য কার্যকর হয়েছিল।
তবে ৫ জনের কম কর্মচারী নিয়োগকারী প্রতিষ্ঠানগুলোকে ছয় মাসের সময়সীমা দেওয়া হয়েছিল, যা ৩১ জুলাই ২০২৫ তারিখে শেষ হবে। এর পর ১ আগস্ট থেকে তারা আর কোনো ব্যতিক্রম পাবেন না।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, নতুন এই মজুরি হার অ-নাগরিক কর্মী ও চুক্তিভিত্তিক শিক্ষানবিশদের ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য, তবে গৃহকর্মী (Domestic Worker) এর আওতায় আসবে না।
মানবসম্পদ মন্ত্রণালয় জানায়, ‘সব নিয়োগকর্তাকে নিশ্চিত করতে হবে যেন কোনও কর্মীর মূল বেতন নির্ধারিত ন্যূনতম হারের নিচে না পড়ে। এজন্য তাদের বেতন কাঠামো পুনর্বিবেচনা করা জরুরি।’
তারা আরও যোগ করে, ‘নিয়োগকর্তাদের ধাপে ধাপে কার্যক্রম সমন্বয় করতে হবে, উৎপাদনশীলতা বাড়ানোর উদ্যোগ নিতে হবে এবং কর্মীদের দক্ষতা উন্নয়নে বিনিয়োগ করতে হবে।’
ন্যূনতম মজুরি আদেশ লঙ্ঘন করলে জাতীয় মজুরি পরামর্শদাতা পরিষদ আইন, ২০১১ এর অধীনে তা অপরাধ হিসেবে গণ্য হবে। এ ধরনের অপরাধের জন্য:
-প্রতি কর্মচারীকে ১০,০০০ রিঙ্গিত পর্যন্ত জরিমানা হতে পারে
-অপরাধ চালিয়ে গেলে প্রতিদিন অতিরিক্ত ১,০০০ রিঙ্গিত জরিমানা
-পুনরাবৃত্ত অপরাধের জন্য ২০,০০০ রিঙ্গিত জরিমানা অথবা সর্বোচ্চ ৫ বছর পর্যন্ত কারাদণ্ড হতে পারে
মন্ত্রণালয় নিয়োগকর্তাদের প্রগতিশীল মজুরি নীতি (Progressive Wage Policy - PWP) গ্রহণে উৎসাহিত করেছে। এই নীতির মাধ্যমে নিয়োগকর্তারা সরকারি নগদ প্রণোদনা পাওয়ার পাশাপাশি কর্মীদের দক্ষতা, কাজের অবদান ও উৎপাদনশীলতার ভিত্তিতে বেতন বৃদ্ধির সুযোগ পাবেন।
বিবৃতিতে বলা হয়, ‘এটি কেবল কোম্পানিগুলোকে দক্ষ জনবল ধরে রাখতে সহায়তা করে না, বরং প্রতিযোগিতামূলক শ্রমবাজারে টিকে থাকার সক্ষমতাও বাড়ায়।
ন্যূনতম মজুরি আদেশ নিয়ে যেকোনো প্রশ্ন বা অভিযোগ সরাসরি দেশব্যাপী শ্রম বিভাগ (JTK) অথবা মানবসম্পদ মন্ত্রণালয়ের অফিসিয়াল ওয়েবসাইটের মাধ্যমে জানানো যাবে।
বিডি প্রতিদিন/জামশেদ