ব্রিটেনের ব্র্যাডফোর্ডে স্ত্রী কুলসুমা আক্তারকে রাস্তায় নৃশংসভাবে খুন করার দায়ে হাজীবুর মাসুম (২৬) নামে এক বাংলাদেশি শিক্ষার্থীকে ২৮ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
জানা গেছে, গত বছরের ৬ এপ্রিল মাসুম তার স্ত্রীকে ২৬ বার ছুরিকাঘাত করেই ক্ষান্ত হয়নি, মাটিতে ফেলে দিয়ে লাথি মারে, তারপর গলায় ছুরি চালিয়ে দেয়। এমন ভয়াবহ হত্যাকাণ্ডের সময় তাদের সাত মাস বয়সী শিশু সন্তানটি পাশেই একটি প্র্যামে বসা ছিল।
মামলায় বলা হয়, মাসুম ফেসবুকে ভুয়া পোস্ট দিয়ে দেখানোর চেষ্টা করে যে সে স্পেনে আছে, কিন্তু গোপনে ব্র্যাডফোর্ডে এসে কুলসুমাকে হত্যার পরিকল্পনা করে। সিসিটিভি ফুটেজে দেখা যায়, তিনি আশেপাশের এলাকায় ঘোরাফেরা করছেন, কুলসুমাকে ফাঁদে ফেলার জন্য ভুয়া জিপি অ্যাপয়েন্টমেন্টের বার্তা পাঠাচ্ছেন এবং অনুপস্থিত থাকলে “ভয়াবহ পরিণতির” হুমকি দিচ্ছেন। হত্যার দিন, কুলসুমা তার এক বান্ধবীর সঙ্গে ছেলেকে প্র্যামে বসিয়ে হাঁটছিলেন। মাসুম এসে তাদের পথরোধ করে।
সিসিটিভিতে দেখা যায়, তিনি কুলসুমাকে টেনে নিয়ে যেতে চাইছেন। যখন বুঝলেন, তিনি যেতে রাজি নন, তখনই হঠাৎ পকেট থেকে ছুরি বের করে একের পর এক আঘাত করতে থাকেন। তিনি শুধু ছুরিকাঘাতেই থেমে থাকেননি, বরং তাকে মাটিতে ফেলে কিক মেরে গলা কেটে দেন।
মাসুম হত্যার অভিযোগ অস্বীকার করে ম্যানস্লটার বা অনিচ্ছাকৃত হত্যার কথা স্বীকার করেছিল। কিন্তু জুরি তাকে স্ত্রীকে হত্যার দায়ে দোষী সাব্যস্ত করে। সেই সঙ্গে তাকে একাধিক অপরাধে দোষী সাব্যস্ত করা হয়—আক্রমণ, হত্যার হুমকি, এবং স্ত্রীকে অনুসরণ করার অভিযোগ। মাসুম জনসমক্ষে ছুরি রাখার অভিযোগেও দোষী সাব্যস্ত হন।
বিডি প্রতিদিন/হিমেল