আয়োজনের নান্দনিকতা সবার হৃদয় কেড়েছে। দর্শকের উপস্থিতি ও উচ্ছ্বাস ছিল চোখে পড়ার মতো। নিউইয়র্কের মঞ্চ নাটকের জন্য যা রীতিমতো ভিন্ন একটি মাত্রা যুক্ত করেছে। কৃষ্টির আয়োজনে তিন দিনের নাট্য উৎসবে ছিল জমজমাট একটি আবহ, যা নাট্যপ্রেমীদের মোহিত করে রাখে। উৎসবে ছিল ছয়টি নাটকের সফল মঞ্চায়ন, সেমিনার, নাটকের গানসহ আরও অনেক কিছু।
নিউইয়র্কে প্রথমবারের মতো তিনদিনব্যাপী নাট্যোৎসবের আয়োজন করে ‘কৃষ্টি ইউএসএ।’ এই নাট্যোৎসব অনুষ্ঠিত হয় জ্যামাইকা সেন্টার ফর আর্টস্ এন্ড লার্নিং (জেক্যাল)ভবনে। ২৭ জুন শুক্রবার এই উৎসবের উদ্বোধন করেন আইটিআই বাংলাদেশের প্রেসিডেন্ট ও বিশিষ্ট নাট্য অনুবাদক প্রফেসর আব্দুস সেলিম। বিশেষ অতিথি ছিলেন জেক্যাল এর আর্টিস্টিক ডিরেক্টর কোর্টনি ফ্রান্স। প্রয়াত নাট্যকর্মী ইশরাত নিশাত স্মরণে কৃষ্টি এই উৎসব উৎসর্গ করেছে।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে নিউইয়র্কে বসবাসরত বাংলা নাটকের দুই বিশিষ্ট ব্যক্তিকে সম্মাননা দেয়া হয়। এরা হলেন রেখা আহমেদ এবং মুজিব বিন হক। এ সময় অতিথিদের মধ্যে আরও ছিলেন রোকেয়া রফিক বেবি, মাসুম রেজা, মিথুন আহমেদ, ড. বাবুল বিশ্বাস, স্বপ্না কাওসার, টিটু গাজী, আবীর আলমগীর, খায়রুল ইসলাম পাখি, মোমেনা চৌধুরী, নজরুল ইসলাম, মুজিব-বিন হক এবং মোহাম্মদ কবীর। কৃষ্টির প্রতিষ্ঠাতা সীতেশ ধর এসময় শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন।
মঙ্গল প্রদীপ জ্বালিয়ে নাট্যোৎসবের উদ্বোধনের পর ড. জীবন বিশ্বাসের পরিচালনায় অনুষ্ঠিত হয় নাটকের গান শীর্ষক ভীন্নধর্মী একটি পরিবেশনা। পরে মঞ্চস্থ হয় সাইকোসিস এবং দ্য গেইম।
উৎসবের দ্বিতীয় দিন “বাংলা নাটকের চেনা অচেনা অভিমুখ” শীর্ষক একটি সেমিনারে মূল প্রবন্ধ পাঠ করেন নাট্যকার ও কবি বদরুজ্জামান আলমগীর। এছাড়াও এদিন “তিন মাতালের কান্ড” এবং “সংকটে শয়তান” নামে দুটি নাটকও মঞ্চায়ন হয়।
২৯ জুন রবিবার শেষের দিন প্রয়াত নাট্য ব্যক্তিত্ব ইশরাত নিশাত স্মরণে একটি বিশেষ পর্বে বক্তব্য রাখেন বিশিষ্ট নাট্যকার ও নির্দেশক মাসুম রেজা। ‘এ্যাট ডাস্ক’ বা গোধুলী বেলায় এবং ‘হ্যামলেট এ্যান্ড অফিলিয়া’ নামে দুটি নাটকের মঞ্চায়ন হয়।
নাটক-দর্শক-শ্রোতা সবাইকে ধন্যবাদ জানিয়ে সমাপনী বক্তব্য রাখেন কৃষ্টির প্রাণপুরুষ সীতেশ ধর। একই সঙ্গে যারা এই আয়োজনে সহায়তা করেছেন তাদের প্রতিও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন তিনি।
বিডি প্রতিদিন/এএম