মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সাথে এবারের জাতিসংঘ অধিবেশনে কিছু অদ্ভুত ঘটনা ঘটেছে। ট্রাম্পের দাবি এগুলো ষড়যন্ত্র। ইচ্ছাকৃতভাবেই ঘটানো হয়েছে। তবে জাতিসংঘ এগুলোকে যান্ত্রিক বিভ্রাট ও সাধারণ ঘটনা বলেই দাবি করছে।
জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদ সফরের সময় ঘটা তিনটি ঘটনাকে 'ট্রিপল স্যাবোটেজ' বা তিন নাশকতা হিসেবে আখ্যা দিয়েছেন ট্রাম্প। সেখানেই তিনি শেষ করেননি। অবিলম্বে এই ঘটনার তদন্তের দাবিও জানিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। সেই সাথে চেয়েছেন বিচারও।
জাতিসংঘ সফরের সময় ট্রাম্প এবং ফার্স্ট লেডি মেলানিয়া ট্রাম্প যখন এসকেলেটরে (চলন্ত সিড়ি) উঠছিলেন, তখন সেটি হঠাৎ বন্ধ হয়ে যায়। এছাড়া, তাঁর ভাষণের সময় টেলিপ্রম্পটার কাজ করা বন্ধ করে দেয় এবং অডিটোরিয়ামেও শব্দজনিত সমস্যা দেখা দেয়।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এই ঘটনাগুলোর তীব্র সমালোচনা করে ট্রাম্প লিখেছেন, জাতিসংঘে গতকাল একটি দুটি নয় তিনটি অত্যন্ত জঘন্য ঘটনা ঘটেছে! এটি কোনো কাকতালীয় ঘটনা নয় এটা জাতিসংঘে 'ট্রিপল স্যাবোটেজ'। তাদের লজ্জিত হওয়া উচিত।
তিনি জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেসকে একটি চিঠি পাঠাচ্ছেন এবং অবিলম্বে তদন্তের দাবি জানিয়েছেন।
এসকেলেটর বন্ধ হওয়ার ঘটনা প্রসঙ্গে ট্রাম্প এর জন্য দায়ীদের গ্রেফতারের দাবি জানিয়েছেন। তিনি বলেন, এটি পুরোপুরি নাশকতা... এসকেলেটরের সব নিরাপত্তা টেপ, বিশেষ করে জরুরি বন্ধ বোতামের অংশ, সংরক্ষণ করা উচিত। সিক্রেট সার্ভিস এই ঘটনায় যুক্ত হয়েছে।
জাতিসংঘে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত মাইক ওয়াল্টজও এই ঘটনাগুলিকে অগ্রহণযোগ্য বলে অভিহিত করে তদন্তের দাবিকে সমর্থন করেছেন। হোয়াইট হাউসের প্রেস সেক্রেটারি কারোলিন লিভিট সন্দেহ প্রকাশ করে বলেছেন, কেউ ইচ্ছাকৃতভাবে এসকেলেটরটি থামিয়ে দিতে পারে।
তবে জাতিসংঘের এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, এসকেলেটরে ট্রাম্পের নিজস্ব ভিডিওগ্রাফার পেছনের দিকে উঠে ভিডিও করার সময় অনিচ্ছাকৃতভাবে নিরাপত্তা ব্যবস্থা চালু করে দিতে পারেন। অন্যদিকে, টেলিপ্রম্পটার সমস্যার বিষয়ে জাতিসংঘের একজন কর্মকর্তা জানান, হোয়াইট হাউস নিজস্ব ল্যাপটপ এনে জাতিসংঘের সিস্টেমে সংযোগ করে এটি পরিচালনা করছিল।
অডিও সমস্যা নিয়ে ট্রাম্প বলেন, অডিটোরিয়ামে শব্দ পুরোপুরি বন্ধ ছিল। এর জবাবে জাতিসংঘের এক কর্মকর্তা জানান, শব্দটি ছয়টি ভিন্ন ভাষায় ভাষান্তরিত বক্তব্য ইয়ারপিসের মাধ্যমে শোনার জন্য তৈরি করা হয়েছিল।
সূত্র: বিবিসি
বিডি প্রতিদিন/নাজমুল