ইয়েমেনের হুতি বিদ্রোহীরা আবারও ড্রোন হামলা চালিয়েছে দখলদার ইসরায়েলে। এর মধ্যে একটি ড্রোন দেশটির এইলাত এলাকায় আঘাত হেনেছে। এতে অন্তত ২২ জন গুরুতর আহত হয়েছে। আহতদের মধ্যে দু’জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।
হুতি বিদ্রোহীরা ২০২৩ সালের অক্টোবরে ফিলিস্তিনের গাজায় আগ্রাসন শুরুর পরেই ইসরায়েলের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করে। সেই থেকে গোষ্ঠীটি নিয়মিত ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন হামলা চালিয়ে আসছে। এরই ধারাবাহিকতায় বুধবার (২৪ সেপ্টেম্বর) ড্রোন হামলা চালানো হয়।
ইসরায়েলি সামরিক বাহিনীর বরাতে স্থানীয় সংবাদমাধ্যম টাইমস অব ইসরায়েল জানায়, হামলার আগে শহরে সতর্ক সাইরেন বাজানো হয়। তবে একাধিক উন্নত আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা থাকলেও তা ড্রোন হামলা ঠেকাতে ব্যর্থ হয়েছে।
আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ‘আয়রন ডোম’ থেকে দুটি ইন্টারসেপ্টর ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করা হলেও ড্রোনটি ভূপাতিত করা যায়নি। এ কারণে ড্রোনটি এইলাত শহরে আঘাত হানে এবং হতাহতের ঘটনা ঘটে। ভিডিওতে দেখা যায়, ড্রোনের আঘাতে ভবনে আগুন ধরে যায়।
এদিকে ইয়েমেনের হুতি গোষ্ঠী এই হামলার দায় স্বীকার করেছে। হুতি মুখপাত্র ইয়াহিয়া সারি আল জাজিরা আরবিকে বলেন, ‘বেশ কয়েকটি ড্রোন দিয়ে এই অভিযান চালানো হয়েছে এবং সফলভাবে লক্ষ্য অর্জিত হয়েছে। আমরা উম্মে আল-রাশরাশ এবং বির আল-সাবা (বর্তমানে বীরশেবা নামে পরিচিত) অঞ্চলে বেশ কয়েকটি ইসরায়েলি শত্রু লক্ষ্যবস্তুতে আক্রমণ করেছি।’
আল জাজিরার সাংবাদিক হামদাহ সালহুত বলেছেন, লক্ষণীয় যে, এইলাতে হুতির হামলা এবারই প্রথম নয়। গত সপ্তাহে হুতি যোদ্ধার ছোড়া আরেকটি ড্রোন এখানে আঘাত হানে। তিনি আরও বলেন, গাজার ফিলিস্তিনিদের সাথে সংহতি প্রকাশ করে ইয়েমেনি গোষ্ঠীটি ইসরায়েলকে লক্ষ্য করে হামলা চালিয়ে আসছে। ইসরায়েল বলেছে, ইন্টারসেপ্টর ক্ষেপণাস্ত্রগুলো কেন ব্যর্থ হলো তা তারা তদন্ত করছে।
বিডি-প্রতিদিন/শআ