দীর্ঘদিন ধরে রাস্তায় বিছিয়ে রাখা হয়েছে ইটের খোয়া। বিভিন্ন স্থানে তা উঠে গিয়ে তৈরি হয়েছে খানাখন্দ। বৃষ্টি হলেই জমে পানি। ছয় মাস ধরে সংস্কার কাজ বন্ধ রাখায় সড়কের এ বেহাল অবস্থা তৈরি হয়েছে। গাইবান্ধা শহরের জনগুরুত্বপূর্ণ এ সার্কুলার রোড দিয়ে চলাচল করতে গিয়ে প্রতিদিন দুর্ভোগের শিকার হচ্ছেন ছাত্রছাত্রীসহ হাজার হাজার মানুষ। স্থানীয়রা জানান, গাইবান্ধা শহরের প্রাণকেন্দ্র সাঘাটা ও বগুড়া জেলার সোনাতলা যাতায়াতের জন্য সার্কুলার রোড খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এ রাস্তা দিয়ে যেতে হয় এসকেএস হাসপাতাল, এসকেএস আই হাসপাতাল, এসকেএস ফিজিওথেরাপি সেন্টার, পালস ক্লিনিক এবং জিইউকে হাসপাতাল। তা ছাড়া গাইবান্ধা সরকারি উচ্চ বালক বিদ্যালয়, গাইবান্ধা ইসলামিয়া হাইস্কুল, পানি উন্নয়ন বোর্ডের অফিস, গোরস্থান জামে মসজিদ, পৌর গোরস্থান, শিশু একাডেমি অফিসসহ অন্যান্য সরকারি-বেসরকারি অফিস ও ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান এ সড়কসংলগ্ন। জনগুরুত্বপূর্ণ এ রাস্তা উঁচুনিচু ও খর্বাবস্থায় রয়েছে। বৃষ্টি হলেই এ দুর্ভোগ আরও চরমে ওঠে। ছাত্রছাত্রীরা দুর্ভোগের শিকার হয় প্রতিদিন। সংশ্লিষ্টরা জানান, বিশ্বব্যাংকের অর্থায়নে ও গাইবান্ধা পৌরসভার বাস্তবায়নে রংপুর ডিভিশনের ৯টি পৌরসভার অবকাঠামো উন্নয়নে আরডিএনপিপি প্রজেক্টের আওতায় ১ কিলোমিটার দীর্ঘ এ সড়কে সংস্কার কাজ ২০২৪ সালের ১৫ সেপ্টেম্বর শুরু হয়। ১ কোটি ২৩ লাখ ৩২ হাজার ৬১৯ টাকা ৪৮ পয়সা ব্যয় বরাদ্দে এ কাজ করছে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান রাজশাহীর ডন এন্টারপ্রাইজ। স্থানীয়দের অভিযোগ, শহরের গুরুত্বপূর্ণ এ সড়ক দিয়ে চলাচল করে বাস-ট্রাক, সিএনজি, মোটরসাইকেল, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশাসহ নানা যানবাহন। সংস্কার কাজ শেষ না হওয়ায় দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে এ সড়ক দিয়ে চলাচলকারীদের। স্টেশনারি ব্যবসায়ী ফরিদ কবীর বলেন, ছয় মাস ধরে রাস্তাটি এভাবেই পড়ে আছে। বৃষ্টি হলে কাদা আর শুকিয়ে গেলে ধুলায় থাকা যায় না। রাস্তা এমন থাকায় লোকজন কম আসে, ব্যবসাও কমে গেছে। ওষুধ ব্যবসায়ী শরিফুল ইসলাম সুমন বলেন, বৃষ্টি হলেই কাদা ছিটকে দোকানের ভিতরে চলে যায়। আমরা মহাবিপদে আছি। অটোরিকশা চালক রশিদুল বলেন, রাস্তা এমন থাকায় রিকশার টায়ার ফুটো হয়ে যাচ্ছে। এ বিষয়ে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান কর্তৃপক্ষের সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও বক্তব্য পাওয়া যায়নি। অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক ও পৌর প্রশাসক এ কে এম হেদায়েতুল ইসলাম বলেন, বৃষ্টিজনিত আবহাওয়ার কারণে মন্ত্রণালয় থেকেই নির্দেশ আছে সেপ্টেম্বর মাসে যেন কাজ না করা হয়। বৃষ্টির মধ্যে রাস্তার কার্পেটিংয়ের কাজ করলে তা নষ্ট হয়ে যেতে পারে। চলতি বর্ষা মৌসুম শেষে দ্রুতই কাজ সম্পন্ন করা হবে।